সংক্ষিপ্ত
- ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
- পেশায় ইউটিউব সাংবাদিক সন্ময় কংগ্রেসের নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতেন সন্ময়
- পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে এবার ফের টক্কর তৃণমূল কংগ্রেসের নির্মল ঘোষের সঙ্গে
তাপস দাস: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু আলোচিত ও বহু নিন্দিত বিরুদ্ধ মতের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ প্রথমবার সর্বসমক্ষে আসে অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারিতে। দ্বিতীয় দফায় তাঁর অসহিষ্ণুতার প্রমাণ মেলে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে।২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ আনা হয়। পেশায় ইউটিউব সাংবাদিক সন্ময় কংগ্রেসের নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন। নিয়মিত তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের নানাবিধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতেন।
২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর নিদের আগরপাড়ার দফতরে বসে কাজ করার সময়ে তাঁক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর খড়দহ থানা ঘেরাও করে কংগ্রেস ও সিপিএম। তিন দিন পর পুরুলিয়া জেলা আদালত থেকে জামিন পান সন্ময়। জামিন পাওয়ার পর সন্ময় অভিযোগ করেন, তাঁকে হেফাজতে মারধর করা হয়েছে। থার্ড ডিগ্রি অত্যাচারের অভিযোগ করেন তিনি। এখনও সন্ময়ের বিরুদ্ধে সাতটি ধারায় মোট তিনটি মামলা চলছে।
আরও পড়ুন-'দায় ওনার-মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক'-শীতলকুচি কাণ্ডে মমতাকে ফের নিশানা দিলীপের...
সন্ময় একাধিকবার বলেছিলেন আজীবন তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, যেদিন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন, সেদিনই একই মঞ্চে অমিত শাহের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন সন্ময়। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ছিলেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে জোর টক্কর দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্মল ঘোষের সঙ্গে। হেরে যান মাত্র ৩০৩০ ভোটে।
আরও পড়ুন-বারাসাতে মমতার সভা বাতিল করল কমিশন, ওদিকে শীতলকুচিকাণ্ডের পর আজ রাজ্যে শাহ-মোদী...
এবার সেই পানিহাটিতেই তিনি ফের প্রার্থী। ডিসেম্বরে নতুন দলে যোগ দিয়েছেন আর পেয়ে গিয়েছেন পদ্ম টিকিট। আবারও তাঁকে লড়তে হবে সেই নির্মল ঘোষের সঙ্গেই। কংগ্রেসের হয়ে এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যিনি, সেই তাপস মজুমদার সন্ময়ের গ্রেফতারির খবরে খড়দা থানা ঘেরাও করেছিলেন। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কোটিপতি প্রার্থীও বটে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে তিনি মোট পৌনে দু কোটি টাকারও বেশি অর্থমূল্যের সম্পদের মালিক।