সংক্ষিপ্ত

  • নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলা জুড়ে দলবদল
  • ভোটের পরও তাতে ভাঁটা পড়েনি
  • এবার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে জল্পনা
  • ঘাসফুল শিবিরের একাধিক নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

মুর্শিদাবাদে 'হাত' শক্ত করতে চলেছে তৃণমূল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরির খাস তালুকেই ভাঙতে চলেছে কংগ্রেসের ঘর। মুর্শিদাবাদে কার্যত অস্তিত্ব সংকটের মুখে হাত শিবির। সূত্রের খবর তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন প্রাক্তন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি। ফলে তিনি তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন, এরকম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে এই গুঞ্জনটা বহু আগে থেকেই ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলা জুড়ে দলবদলের জোয়ার চলছে। ভোটের পরও তাতে ভাঁটা পড়েনি। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। এরপরেই জল্পনা তৈরি হয়।

শুক্রবার এই ঘটনার পরই অভিজিৎবাবুর দলবদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও  দু’পক্ষই দাবি করেছে, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু এই ঘটনা চাউর হতেই মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও দলবদলের কথা উড়িয়ে দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রণবপুত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের নিজে তাঁকে ফোন করেন। একসাথে চা খেতে চাওয়ার প্রস্তাব দেন। অভিজিত বাবুর দাবি, এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক। তাই কাউকেই বারণ করেন না তিনি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

অভিজিত বাবুর দাবি ব্যক্তিগত সম্পর্কে রাজনীতির রঙ না লাগানোই ভালো। তবে সূত্র মারফত জানা যায় ওই চা বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমুল সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের খান, সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, মহম্মদ সোহরাব ও আমিরুল ইসলামরা। তারা সকলে রঘুনাথগঞ্জে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয় তাঁদের মধ্যে। এর পরই দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

তৃণমূলের তরফে একে নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, একুশের ভোটযুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়েও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। একটি আসনও জিততে পারেনি শতাব্দিপ্রাচীন দলটি। লোকসভা বা এ রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের আসন জেতার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

এমন অবস্থায় মুর্শিদাবাদের পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকও কংগ্রেস ছাড়ছেন বলে সূত্রের খবর। এ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও কি এবার কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলের শিবিরে যোগদান করবেন। সেই প্রশ্নকে ঘিরেই কংগ্রেসের শিবিরে অন্ধকারের ছায়া নেমে এসেছে।