সংক্ষিপ্ত
স্পর্শকাতর বুতে গিয়ে নিগৃহিত নির্মল মাজি
ইট, পাথর, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে হামলা তৃণমূল প্রার্থীকে
গুরুতর জখম মন্ত্রীর দেহরক্ষী
নির্মল মাজি আঙুল তুলছেন বিজেপির দিকে
খবর এসেছিল ভোট লুট হচ্ছে। আর রুখতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে নিগৃহিত হলেন রাজ্যের শ্রমদফতরের বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী ডা. নির্মল মাজি। মঙ্গলবার বেলা একটু গড়ানোর পর স্পর্শকাতর বুথ হিসাব পরিচিত আমতার মুক্তিরচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দেহরক্ষীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক্তার-মন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে, আমতার রামসদয় কলেজে নিজের ভোটটা দেওয়ার পরই মুক্তিরচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে আসেন হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মল মাজি। হামলা হতে পারে বলে আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে দেখা যায় হেলমেট পরে বুথ পরিদর্শনে আসতে। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। তিনি ওই এলাকায় পৌঁছতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপির কর্মীরাই তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। কার্যত গ্রামবাসীরা ইট, পাথর, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় নির্মল মাজি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের উপর। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের গাড়িও। শ্যামল ওরাওঁ-সহ মন্ত্রীর দুজন নিরাপত্তারক্ষী ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হন। নির্মল মাজির মাথাতেও হালকা আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। তৃণমূল প্রার্থী অভিযোগ করেছেন,কেন্দ্রীয় বাহিনী সহায়তা চেয়েও পাননি। প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। বিজেপি-তৃণমূল ছোটখাটো সংঘর্ষ লেগেই ছিল। ভোটের আগেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।
অন্যদিকে, এদিন সকালে আমতারই চন্দ্রপুর এলাকায় যুযুান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মী আহত হন। তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। চন্দ্রপুরে বোমাবাজির ফলে এক প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই প্রিজাইডিং অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বুথ জ্যাম, ইভিএম মেশিন খারাপ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, এই কেন্দ্রে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণই ছিল।