সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- আরও সভা করার ইচ্ছে প্রকাশ
- বললেন তিনি হিন্দু আর চণ্ডীপাঠ করেন
- বিজেপিকে চড়া সুরে নিশানা করেন মমতা
'আমি হিন্দু, আমি রোজ সকালে চণ্ডীপাঠ করি।' নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিজেপির তাঁর সঙ্গে হিন্দুত্বের তাস খেলা বন্ধ করুক। কারণ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হিন্দুদের তুলনায় বেশি সুবিধে দিচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করবেন। তার আগে মঙ্গলবারই তিনি পৌঁছে গেছেন সেখানে। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন তিনি লড়াই করতে পিছপা হবেন না।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই হবে সেখানকার ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। আর এখন থেকেই বিজেপির সমর্থক ও শুভেন্দুর অনুগামীরা তাঁকে বহিরাগত বলে নিশানা করছেন। তার উত্তর দিয়ে তিনি বলেন অনেকেই তাঁকে বহিরাগত বলছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যেই তিনি বলেন তিনি একজন বাঙালি। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন যাঁরা দিল্লি থেকে আসছেন তাঁরা কী? তারপরই তিনি বলেন স্থানীয়রা যদি তাঁকে না চান তাহলে তিনি মনোনয়ন দাখিল করবেন না। স্থানীয়রা যদি তাঁকে নিজেদের মেয়ে মনে বলে মনে করেন তাহলেই তিনি তাঁদের জন্য লড়াই করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র ও একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগী শুভেন্দু অধিকারী
আগেই বলেছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন খুব অল্প দিনের মধ্যেই তিনি নন্দীগ্রামে দুটি জনসভা করবেন। এদিন তাঁর ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল বিজেপির প্রতি আক্রমণ। তিনি অভিযোগ করে বলেন বিজেপির রাজ্যের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগি করতে চাইছে। নাম না করে তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন যাঁরা হিন্দু মুসলিম খেলছে তাদের অবশ্যই জানতে হবে তিনি হিন্দু মহিলা। তাঁকে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানেন।
এদিন তিনি একাধিকবার ভূমি আন্দোলনে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামকে তিনি যুক্ত করেছিলেন আন্দোলন পর্বে। আর তাঁর দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে বিধানসভায় যাওয়ার। তারপরই তিনি বলেন শেষবার তিনি যখন নন্দীগ্রামে এসেছিলেন তখন সেখানে কোনও বিধায়ক ছিল না। নাম না করে শুভেন্দুর কথাই বলেন। সেই সময়ই তিনি স্থানীয়দের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি যদি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হন তাহলে কী তাঁরা সম্মতি দেবেন। তারপরই তিনি বলেম স্থানীয়দের উন্মাদনা দেখেই তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।