সংক্ষিপ্ত

  • বেলডাঙা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত 
  • এখানে অবশ্য বামেরাও বেশ কয়েকবার জিতেওছিল 
  • তবে এবার সবার সঙ্গেই জড়িয়ে  বেলডাঙ্গার ভবিষ্যৎ 
  • 'বিজেপির  কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না', বার্তা কংগ্রেসের 


বেলডাঙা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানে অবশ্য বামেরাও বেশ কয়েকবার জিতেওছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনে এনআরসি ইস্যুতে সারি সারি ট্রেন পোড়ানো থেকে শুরু করে প্ল্যাটফর্ম ভাঙচুরে জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনা রাজ্যের কাছে বেলডাঙাকে পরিচিত করেছে বহু আগেই।এখানেই শেষ নয়, বছর কয়েক আগে এই বেলডাঙা থেকে বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের মিসিং লিঙ্কের হদিশও মিলেছে নানা  ভাবে। আর এই সবার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বেলডাঙ্গার এবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। 

আরও পড়ুন, রাত পেরোলেই রাজ্যে অষ্টম দফা ভোট, জোর জল্পনা জলঙ্গিতে  


তবে এই কয়েক বছরে বেলডাঙা শহরের উন্নয়নও হয়েছে তা বলছেন অনেকেই। স্থানীয় ইমতিয়াজ শেখ, হুমায়ুন কবির, আকবর মন্ডল একযোগে বলেন, গারমেন্ট হাব বা দমকল কেন্দ্রের পাশাপাশি বেলডাঙা শহরে এলইডি লাইট বসেছে। রাস্তা ভালো হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার কাজও হয়েছে।' তবে এত কিছুর পরেও বেলডাঙা শহরই বিজেপি মূল ভরকেন্দ্র। এখানকার প্রতিটি ওয়ার্ডেই তারা দাপট দেখাচ্ছে। এছাড়া মহুলা বা হরিদাসমাটি এলাকাতেও তাদের প্রভাব রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী সুমিত ঘোষ বলেন, 'বাংলার বুকে তো বটেই সারা দেশে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নামে শহরজুড়ে কীভাবে তাণ্ডব হয়েছিল মানুষ তা ভুলে যায়নি। স্টেশন ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেলডাঙ্গা বাসি হিসেবে সকলের কাছে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল আমাদের। অথচ সেই সময় তৃণমূল সব দেখেও ভোট হারানোর ভয়ে কিছু করেনি। তার জবাব এবার ইভিএমে মানুষ দেবে। তাছাড়া বেলডাঙার এতদিনে আরও এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। প্রাচীন শহর হওয়া সত্ত্বেও এখানে শিল্প হয়নি। কংগ্রেসের বিধায়ক ও সংসদ সদস্য থাকলেও কাজ হয়নি। তাই মানুষ এবার আমাদের পাশে থাকবে।'

 

আরও পড়ুন, Election Live Update-আজ রাজ্যে ৪ জেলার ৩৫ আসনে অষ্টম দফার ভোট গ্রহন, অন্তিম দফায় কড়া নজর কমিশনের 


 কংগ্রেস নেতা কিশোর ভাস্কর বলেন, 'কংগ্রেস কী করেছে তা এই এলাকার মানুষ জানে। বিজেপি  রাজনীতি করে ফায়দা তুলতে পারবে না। আর তৃণমূল এখানে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। সে কারণে ওদের মানুষ চাইছে না ।'  মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, বিজেপির  কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না।  এনআরসি চালু হতে দেবেন না বলে আমাদের নেত্রী ঘোষণা করেছে। মানুষ নেত্রীর উপর ভরসা করে। ওরা ভুল বুঝিয়ে কিছু করতে পারবে না। শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল"। কাজেই অতীতের কংগ্রেসের রাজত্ব সেইসঙ্গে বেলডাঙ্গা কে কেন্দ্র করে রাজ্য স্তরের নয়া ঘটনার সৃষ্টি। আর এই সবের মাঝে ভরকেন্দ্রে একটা হিসেবে শেষ পর্যন্ত কাজ করবে বিজেপি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।