সংক্ষিপ্ত
ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল
কিন্তু নন্দীগ্রামে কী হবে
মমতা নিজে জিতবেন কি
গণনার প্রবণতা কী বলছে
এখনও গণনা চলছে। গণনার শেষেই সার্বিক ফলাফলটা পাওয়া যাবে। বেশ কয়েক রাউন্ডের গণনা বাকি থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের ২০০-র বেশি আসন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। আসন সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কত হবে, তা নিশ্চিত না হলেও তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য যে ক্ষমতায় ফিরছে, তা নিয়ে আর কারোর মনে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে কি জিততে পারবেন? ক্রমেই এই প্রশ্ন ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে।
এইবারের নির্বাচনের সবথেকে আকর্ষণীয় কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। নির্বাচনের দিন ঘোষণারও আগে, নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে বাংলার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই সেখান থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তার দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন নন্দীগ্রামে মমতার দীর্ঘদিনের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকেই মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তারপর থেকেই এই কেন্দ্রে তৈরি হয়েছিল প্রেস্টিজ ফাইটের আবহ।
এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামে ১০ রাউন্ড গণনা হয়েছে। ১০ রাউন্ড গণনার শেষেও কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। ১০ রাউন্ড গণনার শেষে শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ১০৩৭৯ ভোটে এগিয়ে। নন্দীগ্রামে গণনার শুরু থেকেই অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন মমতা। ৩ রাউন্ড গণনার শেষে প্রায় ৮০০০ ভোটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ব্যবধান কমে ৪০০০ হয়েছিল। আবার ব্যবধান বেড়েছে।
এরপরই, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে সার্ভারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সেখানে ফল ঘোষণাতে দেরি হবে।
দশম রাউন্ড গণনা অবধি মমতা পিছিয়ে পড়া নিয়ে অবশ্য আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, নন্দীগ্রাম ব্লক ১-এর গণনা প্রথমে হয়েছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব বেশি। তাই তিনি বেশি ভোট পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, নন্দীগ্রাম ব্লক ২-তে গণনা পৌঁছলে মমতাকে আর আটকানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেন তিনিই।
তবে, একটি সূত্র জানিয়েছে, গণনা ফের চালু হয়েছে। আর ১৪ রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূলের কথাই সত্যি হতে চলেছে। ১৪ রাউন্ড গণনাপ শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রায় ৮,৭৮৭ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন।
সব মিলিয়ে শেষ লগ্নেও দারুণ উত্তেজনাময় হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম।