সংক্ষিপ্ত
- সামশেরগঞ্জ-জঙ্গিপুরে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে
- করোনায় মৃত্যুতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হয় ওই এলাকায়
- প্রথমে ইদের দিনে ভোট শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা
- এরপরে তা বদলে ১৬ মে সেখানে নির্বাচন হবে, জানাল কমিশন
ভোট বড় বালাই। মৃত্যুর পরেও থেমে থাকে না ভোটের যুদ্ধ। তাই শেষ পর্যন্ত দলীয় স্তরে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার পাকাপাকিভাবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র দুটি থেকে নতুন করে প্রার্থী দাঁড় করালো কংগ্রেস ও সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আরএসপি।
আরও পড়ুন, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোটগ্রহণ ১৬ মে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
দিন কয়েক আগেই ঐ দুই কেন্দ্রে ভোটের মুখে করোনার প্রাণ কেড়ে নেয় মুর্শিদাবাদের দুটি বিধানসভা আসনের দুই প্রার্থীর। একজন সামশেরগঞ্জ থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। নতুন করে ২ ভোট প্রার্থী মৃত্যুর পরে ওই দুই আসনে প্রার্থী হিসেবে সামশেরগঞ্জ থেকে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মৃত রেজাউল হকের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন। জঙ্গিপুর আসনে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়বেন আরএসপি প্রার্থী জানে আলম।বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সামশেরগঞ্জের দাপুটে কংগ্রেস নেতা রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাস। করোনার উপসর্গ থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। প্রবল শ্বাসকষ্ট থাকায় গত বুধবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল তাঁকে জঙ্গিপুর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ভরতি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় রেজাউল হকের।
আরও পড়ুন, কান্দিতে অস্তিত্ব সঙ্কটে কংগ্রেসের 'মিথ', 'ঘাসফুল'-'পদ্ম' কাঁটায় কায়েম থাকবে কি 'ম্য়াজিক'
পরের দিনই শুক্রবার করোনা প্রাণ কাড়ে জঙ্গিপুর আসনের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই দুই আসনের ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর পরেই কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা চলতে থাকে দলীয় স্তরে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ আসনে মৃত রেজাউল হকের স্ত্রীর উপরই ভরসা রেখে কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর নাম স্থির করেন। উল্লেখ্য, এই আসনে লড়াই করছে না জোট। সামশেরগঞ্জে প্রার্থী দিয়েছে বাম, কংগ্রেস দুই দলই। অন্যদিকে জঙ্গিপুরে লড়াই করছে সংযুক্ত মোর্চা। প্রদীপ নন্দীর জায়গায় লড়াই করবেন জানে আলম।
আরও পড়ুন, 'চোপড়ায় গুলি বর্ষণ', গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করল কমিশন
প্রসঙ্গত,মুর্শিদাবাদের বামফ্রন্টের জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ও সুতি বিধানসভা কেন্দ্রের ২ বারের বিধায়কও ছিলেন জানে আলম। এদিন আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ ব্যানার্জি বলেন,"আচমকা দুঃখজনকভাবে আমাদের প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর মৃত্যুতে আমরা প্রত্যেকে শোকাহত। দলের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে তার মৃত্যুতে।এমতাবস্তায় তড়িঘড়ি আমরা দলীয় নেতৃত্ব বসে জানে আলমকে ওই জঙ্গিপুর আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করছি"।অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব তথা জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,'রেজাউল হক আমাদের বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন করোণা আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শোকের বাতাবরণ তৈরি করেছে। এমতাবস্তায় ওই আসনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করাটাই আমরা সর্বতোভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'