সংক্ষিপ্ত
কোভিড-১৯ আবহেই চলছে বাংলার ভোট
এই অবস্থায় প্রচার বন্ধের আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে
কমিশনের কড়া সমালোচনা করল আদালত
কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে ঠিক কী বলল তারা
একেবারে কাপড় কাচা যাকে বলে, সেভাবেই বৃহস্পতিবার তীব্র ভাষায় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন একদিকে যখন ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ চলছে, অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে বসেছিল কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বচনী প্রচার বন্ধের মামলার শুনানি। এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছিল। সবগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে শুনানি হয়। আর সেই মামলার পর্বেক্ষণেই কমিশনের কাজে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করল আদালত।
এদিন আদালত জানায়, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নেই বলে, এদিন এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে না। তার বদলে আদালত এদিন এক পর্যবেক্ষণ দেয়। আর সেই পর্যবেক্ষণেই কোভিড আবহে ভোটগ্রহণে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করল। আদালত বলেছে, কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু, তারা সেই ক্ষমতার সবটা প্রয়োগ করছেন না। কমিশন কার্যত একটি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় সাড়ছেন। বাকিটা তাঁরা ছেড়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের হাতে। আদালত কমিশনের কাছ থেকে বিজ্ঞপ্তি নয়, পদক্ষেপ চাইছে।
এদিন, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের প্রসঙ্গও তোলে আদালত। আদালত বলেছে, সেশন তাঁর আমলে যে কাজ করে দেখিয়েছিলেন, তার ১০ ভাগের ১ ভাগও এখনকার কমিশন করে দেখাতে পারবে কি না, তাই নিয়ে আদালত সন্দিহান। কমিশনের হাতে পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী - সব ক্ষমতা আছে। কিন্তু, তা তারা ব্যবহার করছে না। তারা যে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে, তা প্রয়োগ করতে পারে তারাই। সেই বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়িত করার দায় সাধারণ মানুষের নয়। কমিশন যদি এরকমই ব্যর্থ ভূমিকায় থাকে, তাহলে আগামী দিনে মানুষের প্রাণ রক্ষায় আদালত যা করার, তা করবে, এমনও বলেছে আদালত।