সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরে ভুয়ো ভোটার সমীক্ষা
- পুলিশের নকল প্যাড আর লোগো ব্যবহার করে
- ভুয়ো সার্ভেতে নাম রয়েছে আরএসএস-এর
- ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা পুলিশের
ভোটের আগেই দিনেই ভুয়ো ভোটার সার্ভে, পুলিশের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল আরএসএস-এর নামও। বুধবার সকালেই এই ঘটনা সামনে আসায় কিছুটা হলেও স্তম্ভিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। অভিযোগ, ভোটার প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের প্যাড মত দেখতে নকল প্যাড তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের লোগো ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতীরা। ভুয়ো ভোটার সমীক্ষা প্রকাশ করার চেষ্টা করছিল । দ্বিতীয় দফার ভোটের তালিকায় থাকা নারায়ণগড় ও চন্দ্রকোনা বিধানসভা কেন্দ্রের আগাম সমীক্ষা প্রকাশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টাও হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের নজরে পড়লেই ভেস্তে যায় দুষ্কৃতীদের পরিকল্পনা। বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন-পুলিশের লোগো অপব্যবহার করে ভুয়া একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে, এছাড়াও আরও অন্যরকম সমীক্ষায় প্রকাশ করা কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেমন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্র এর আগাম ভোট সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে জেলা পুলিশের নাম করে। যেখানে দেখানো হয়েছে তৃণমূল অনেক ভোটে এগিয়ে থাকবে। হুবহু জেলা পুলিশের প্যাড এর আদলে ছাপিয়ে কম্পিউটার প্রিন্ট এই সমীক্ষা ছড়িয়েছে কেউ বা কারা। যা ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে ভোটের একদিন আগেই। ভুয়ো নাম জড়িয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সংঘের। দেখা যাচ্ছে চন্দ্রকোনা বিধানসভার আগাম ভোট সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএস এর একটি প্যাড। তবে এর সংঙ্গে আরএসএস জড়িত কিনা তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুই ক্ষেত্রেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে।এই দুই ধরনের কাগজ পুলিশের হাতে আসার পর ,দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সফর, 'অগ্নিকন্যা' থেকে 'দিদি' হওয়ার লড়া...
রাত পোহালেই রাজ্যের চারটি জেলার ৩০টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। তার আগে এজাতীয় ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আস্বস্ত করা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোট প্রচারেই রাজ্যের যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবির ভোটের দিন অশান্তির আশঙ্ক প্রকাশ করেছে। নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পুলিশের পোষাকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে রাজ্যের ভোটের দিনের শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। অন্যদিকে বিজেপিও আশান্তি করতে পারে এই অভিযোগ তুলে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূলকে।