সংক্ষিপ্ত

একসময় বিজেপি সমর্থন করেছিলেন তিনি

আর সেই বিমল গুরুং-ই অস্বস্তিতে ফেললেন গেরুয়া শিবিরকে

তাও আবার পঞ্চম দফা ভোটের দিনই

পুরোনো সঙ্গীদের নিয়ে ঠিক কী বললেন তিনি

চলছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। শনিবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়েও। আর এবার পাহাড়ে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার লড়াই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM) নেতা বিমল গুরুং-এর। একসময় মমতার হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু, এখন তাঁর প্রশ্ন, গোর্খা সম্প্রদায়ের জন্য বিজেপি কী করেছে? এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি সাফ জানিয়েছেন, এবারও বাংলায় ক্ষমতা পাবে না গেরুয়া শিবির।  

বিমল গুরুং বলেছেন, বাংলায় বিজেপির কোনও জনসমর্থন নেই। গ্রাউন্ড জিরোয় তাদের তেমন প্রভাব নেই। তাই তারা কীভাবে সরকার গঠন করবে? শুধু হিংসা, ভাঙচুর ও গুলি চালিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তিনি আরও বলেছেন, ১৫ বছর ধরে তিনি বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর সম্প্রদায়ের জন্য গেরুয়া শিবির কিচ্ছু করেনি। নরেন্দ্র মোদীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় গোর্খাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, সাড়ে ছয়-সাত বছর পেরিয়ে গেলেও কিছুই করেননি।

আরও পড়ুন - বিধাননগর যেন 'মিনি নন্দীগ্রাম' - সমানে সমানে টক্কর সুজিত-সব্যসাচীর , আছেন ভাইপো নইও

আরও পড়ুন - 'এবার, ২০০ আসন পার' - একান্ত সাক্ষাতকারে কী জানালেন স্বপন দাশগুপ্ত

আরও পড়ুন - শহুরে ভোট ধরতে কৌশল বদল, কোন হাতিয়ারে শিক্ষিত বাঙালীর মন জিততে চাইছে বিজেপি

সেই ১৯০৭ সাল থেকেই সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পার্থক্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা হয়ে 'গোর্খাল্যান্ড' গঠন করার দাবি জানিয়ে আসছে নেপালি-ভাষী গোর্খারা। বারে বারে রাজনৈতিক অস্থিরতার সাক্ষী হয়েছে পাহাড়। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, চা-শ্রমিকদের সমস্যা। বিজেপির পক্ষ থেকে গোর্খা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই অঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতিগুলিতে তফসিলি উপজাতির (ST) মর্যাদা দেওয়া হবে,এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।