নন্দীগ্রামে গিয়ে আক্রান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  পায়ে আর গলায় চোট পেয়েছিলেন তিনি  তাঁকে ঠেলে দেওয়া হয়নি  জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা 

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু কী হয়েছিল বুধবার সন্ধ্যেবেলা?- সবই জানিয়েছেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী ।

সোমেন মাইতি (ছাত্র)- আমদাবাদ থেকে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরেই ছিল উচ্ছসিত জনতার ভিড়। সেই সময়ই তিনি আহত হয়েছিলেন। তিনি গলায় আর পায়ে চোট পেয়েছিলেন। তাঁর গাড়িতে কেউ ধাক্কা দেয়নি। গাড়িটি ধীরে ধীরে চলছিল। তিনি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানতে চাওয়া হলে সোমেন জানিয়েছেন, ছাত্র। কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন তিনি তা দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। 

Scroll to load tweet…

চিত্তরঞ্জন দাস (স্থানীয় বাসিন্দা)- তিনি কাছেই ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত জোড় করে এসেছিলেন। গাড়ির দরজা খোলা ছিল। গেটের সামনে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একটি পোস্টারে ধাক্কা লেগে গাড়ির দরজা বন্ধ হয়েগিয়েছিল। তাতেই আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেই ধাক্কা দেয়নি। 

Scroll to load tweet…


এদিনই সন্ধ্যেবেলা নন্দীগ্রামে আঘাত পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সঙ্গে সঙ্গে সড়কপথে গ্রিন করিডোর তৈরি করে তাঁকে মেদিনীপুর থেকে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হয় সেখানে। স্থানীয়দের কথায় গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন তিনি। দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। রাস্তার ধারে দুটে পাতে ধাক্কা লাগে। গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অনুমান সেই সময় তাঁর পায়ে গাড়ির দরজাটি গিয়ে লাগে। গুরুতর চোট পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করে রাতেই হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে রাতেই হাসপাতালে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও প্রথম দিকে তাঁকে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।