সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালির ঘটনার মধ্যেই নদিয়ায় কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে এই জেলায় সামনে এল আরও নির্মম ঘটনা। নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলা এলাকায় , ১৪ বছরের এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে। পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ করে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলা থানার শংকরপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে সেছিল নিহত নির্যাতিতা। এই জেলারই গাংনাপুর থানার ঘোলা এলাকার বাসিন্দা ছিল ওই নাবালিকা । গত সোমবার চড়ক মেলা উপলক্ষে তার পিসির মেয়ের বাড়ি বেড়াতে আসে। পরশুদিন গভীর রাতে হঠাৎ জামাইবাবু খবর দেয় ওই নাবালিকার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর ওই নাবালিকার বাবা এবং জ্যাঠা যখন রওনা দিয়েছিলেন তখন আবার বলা হয় তাদের মেয়ে মারা গেছে। এবং এই মুহূর্তে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল রয়েছে। ততক্ষনে নাবালিকার ময়নাতদন্ত হয়ে গেছে। কিন্তু যখন ওই নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর গাগনাপুর নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় তখন পরিবার এবং স্থানীয়রা সাময়িকভাবে মৃত্যু ঘটেছে এটা মানতে নারাজ। তাদের দাবি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে। তার কারণ ওই নাবালিকা সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় গত সোমবার বেড়াতে গিয়েছিল। কিভাবে দিদি জামাইবাবুর বাড়ি গিয়ে হঠাৎ ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করতে পারে তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে।
এলাকাবাসী এবং পরিবার ওই নাবালিকার পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি তোলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাংনাপুর থানার পুলিশ। থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও ওই নাবালিকার পিসততো দিদি, জামাইবাবুর দাবি সে ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার সায়ক দাস বলেন, নতুন করে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবারের তরফ থেকে। অভিযোগে মোট চার জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।হাঁসখালির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ধানতলায় নতুন করে চাঞ্চল্য, এবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন কে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ ।