সংক্ষিপ্ত
অভিযুক্ত ওই দুই নিষিদ্ধ বাজি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট' এর সেকশন ২৪, ইউ৯(বি) আই .ই অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করাা হয়েছে।
বাড়ির মধ্যে চোরা গোডাউন (Godown) বানিয়ে থরে থরে সাজানো পাহাড়প্রমাণ নিষিদ্ধ শব্দ বাজি (prohibited Firecrakers)। দীপাবলীর (Dipabali) আগে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সীমান্ত ঘেঁষা শহর লালগোলায় (Lalgola) নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশের একটি বিশেষ দল। বিকেলে এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে সর্বত্র। গোপন সূত্রে সোর্স ইনপুট পেয়ে রীতিমতো ব্লুপ্রিন্ট বানিয়ে অভিযানের নামে স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ সন্দীপ সেন। তারপরেই মেলে চোখ ধাঁধানো সাফল্য।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শহর লালগোলার বুকে একচেটিয়া নানান ধরনের নিষিদ্ধ বাজির কারবার চালিয়ে আসছে একদল ব্যবসায়ী বলেই অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রমরমিয়ে কারবার চালিয়ে এসেছে তারা বলেই স্থানীয়রা জানান। সেইমতো লালগোলার রাজগুরু পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই দুই নিষিদ্ধ বাজি কারবারি সম্পর্কে দাদাভাই সুজিত দাস ও তাপস দাস এই বেআইনী কারবারের অন্যতম প্রধান কর্তা।
পুলিশ তাদের ধরার জন্য রীতিমতো ফাঁদ পাতে। ওই দুই নিষিদ্ধ বাজি ব্যবসায়ীর বাড়ি ও তার সংলগ্ন গোডাউন ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশবাহিনী। এর পরেই চলে তল্লাসি অভিযান দফায় দফায়। প্রথমে খুব একটা আন্দাজ করা না গেলেও, কিছু সময় গড়িয়ে যেতে চোখ কপালে উঠবে শুরু করে পুলিশ কর্তাদের। একের পর এক গোডাউনের ভিতর থেকে বিভিন্ন প্যাকেটে থেকে বিকট শব্দের নিষিদ্ধ চকলেট বোমা থেকে শুরু করে, ক্রাকার, হাওয়াই বাজি, হরেক রকমের দোদোমা উদ্ধার হতে থাকে ওই গোডাউনের মধ্যে থেকে।
Kalipuja 2021- ধুপধুনোর গন্ধে মা কালীকে অনুভব, বয়রা গাছের নীচে শুরু হল কালীপুজো
দীর্ঘক্ষন ধরে চলে এই অভিযান। সব মিলিয়ে ১৬০০ কেজির বিপুল পরিমাণে ঐ থরে থরে শব্দ বাজি বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয় লালগোলা থানার পুলিশ। এদিকে এত পরিমান বাজি বাড়ি লাগোয়া গোডাউন থেকে উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসীরা জানান, ঐ ২ বাজি ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে জনবহুল এলাকায় এইভাবে বিপজ্জনকভাবে নিষিদ্ধ বাজি মজুদ করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
যেকোনো মুহূর্তে বড়োসড়ো বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। অবশেষে পুলিশ থানা অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমান ১৬ কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করায় আমরা সকলে খুশি"। আরোও জানা যায়, ওই বিপুল পরিমাণ মজুদ করা বাজি সুজিত ও তাপস দাস শহরের অন্যান্য ছোটখাটো বাজি ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তার আগেই তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে সক্ষম হয়।
Kalipuja 2021- এই গ্রামে আলো জ্বালেন মা মৌলিক্ষা, মা কালীর সঙ্গে পুজো পান বামাক্ষ্যাপাও
এদিকে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে অভিযানের আগেই অভিযুক্ত ওই দুই বাজি ব্যবসায়ী সুজিত ও তাপস এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় গ্রেফতারি এড়াতে। যদিও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য আদা নুন খেয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
KaliPuja 2021-মুসলিম জমিদারের হাতে শুরু হয় তিন বোনের বুড়ি কালী পুজো
সেক্ষেত্রে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হওয়া মধ্যে দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। সেইমতো অভিযুক্ত ওই দুই নিষিদ্ধ বাজি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট' এর সেকশন ২৪, ইউ৯(বি) আই .ই অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করাা হয়েছে। এই ব্যাপারে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিক্রম প্রসাদ বলেন, এই অতিমারি আবহে বেআইনি নিষিদ্ধ বাজি রমরমা বন্ধ করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।