সংক্ষিপ্ত

এই ঘটনার জেরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম লক্ষ্মী বালা মণ্ডল ও সন্ন্যাসী মণ্ডল। জখম হয়েছেন ৬ জন।

শহিদ দিবসের দিনই প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রক্তে ভাসল উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া মোহনপুর অঞ্চলের ট্যাংরামারি এলাকা। গুলিও চলেছে এলাকায়। এই ঘটনার জেরে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম লক্ষ্মী বালা মণ্ডল ও সন্ন্যাসী মণ্ডল। জখম হয়েছেন ৬ জন। ঘটনায় ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হাড়োয়ায় মোতায়েন বিশাল সংখ্যক পুলিশ। 

আরও পড়ুন- গণতন্ত্রের নামে গোয়েন্দাগিরি করছে মোদী সরকার, ১০টি পয়েন্টে দেখে নিন তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালন হওয়া তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান যাতে সমর্থকরা দেখতে পান তার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য শোনার পর বাড়ি ফিরছিলেন সমর্থকরা। তাপস রায় অনুগামীদের অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল নেতা যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিকের বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরত তাদের সমর্থকদের দিকে ছোড়া হয় প্রায় ১০-১২ রাউন্ড গুলি। তার জেরেই বেশ কয়েকজন জখম হন। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। সবাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে এগিক ওদিক ছুটতে শুরু করেন। দু'জনের মৃত্যুও হয়েছে।  

আরও পড়ুন- 'পেগাসাস, মোদীর নাভিশ্বাস', সুপ্রিম কোর্টকে সুয়োমোটো মামলা করার আবেদন মমতার

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গুলি চলার পরই এলাকায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই পড়ে গিয়ে পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় লক্ষ্মীবালা মণ্ডলের। এদিকে বুকে গুলি লাগে সন্ন্যাসী মণ্ডলের। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের দু'জনকে হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাড়োয়া থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র‍্যাফ। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, তাপস রায় ও যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। সেই দ্বন্দ্বের ফলে হাড়োয়ার ওই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেবে তা ভাবতেই পারেননি স্থানীয়রা।