সংক্ষিপ্ত

৪৫ মিনিটে ২০২২ ডুব দিয়ে অভিনব বর্ষবরন বিষ্ণুপুরের সদানন্দের। না কোনও সেলুলয়েডের স্ক্রিন নয়, নাইবা এডিটের কারসাজি, পরপর গুনে গুনে ২ হাজার ২২ বার শীতল জলে ডুব দিয়ে এভাবে বাইশ সালকে স্বাগত জানালেন বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্ত।

৪৫ মিনিটে ২০২২ ডুব দিয়ে ( 2022 times) অভিনব বর্ষবরন বিষ্ণুপুরের সদানন্দের ( Sadananda Dutta)। না কোনও সেলুলয়েডের স্ক্রিন নয়, নাইবা এডিটের কারসাজি। বিষ্ণুপুরের সদানন্দ পরপর গুনে গুনে ২ হাজার ২২ বার শীতল জলে ডুব দিয়ে এভাবে বাইশ সালকে (New Year 2022)স্বাগত জানালেন। ততক্ষণে হিমেল হাওয়ায় পাড়ে দাঁড়িয়েই কাঁপছে দর্শকরা।

নতুন বছরকে অভিনব ভাবে স্বাগত জানালেন। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ  দত্ত। বিষ্ণুপুরের ইতিহাস প্রসিদ্ধ লালবাঁধের জলে ৪৫ মিনিটে ২০২২ টি ডুব দিয়ে নতুন বছর কে স্বাগত জানালেন তিনি। হালকা শীত সঙ্গে হিমেল হাওয়া আর লালবাঁধের হাড় হিম করা শীতল জলে ডুব দিয়ে অভিনব ভাবে নতুন বছর বরন করে নিলেন সদানন্দ দত্ত। আর এই দৃশ্য পরোতে পরোতে উপভোগ করলেন বিষ্ণুপুর ও বিষ্ণুপুরে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।  প্রতি বছর এই চমক থাকে সদানন্দের এই বছর তা ব্যাতিক্রম হয়নি। এইভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে এগিয়ে যেতে চায় নিজের রেকর্ড ডুবের স্বপ্ন নিয়ে। প্রসঙ্গত, একুশের ডিসেম্বরের ক্রিসমাসে আচমকাই চড়ে যায় পারদ। আর মেঘ-বৃষ্টি বিদায় নিতেই বর্ষশেষের রাত থেকেই ভালই ঠান্ডা সারা বাংলায়। আর তার মাঝে একান্তই  নিজস্ব স্টাইলে শীতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২ হাজার ২২ বার শীতল জলে ডুব দিয়ে নতুন বছরকে এভাবেই আলিঙ্গন করলেন  বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ  দত্ত।

এর উদ্দেশ্য কী- প্রশ্নের উত্তরে সদানন্দ  দত্ত সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে জানিয়েছেন, 'কত মানুষ কত রকম করে, আমি এভাবেই বর্ষকে বরণ করলাম। প্রতিবছর করি, যতদিন বাঁচব, ততদিন করবো। এটাই ভগবানের আর্শীবাদ। কষ্ট হলেও এত আনন্দে সেটা অনুভব করি না। আমি এই ডুব দেওয়া নিয়ে কোনও বিজ্ঞাপন দেই না। তাও হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি থেকেও পর্যটকরা ছুটে আসে। আমার উদ্দেশ্যে গিনেস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডে এর মাধ্যেমেই নাম তোলা। ২০১৭ সাল থেকে আমি এটা শুরু করি। অনলাইনে আবেদনও করি। তবে আশা রাখি কোনও একদিন পাব, আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব। বিষ্ণুপুরের মানুষ আমাকে একডাকে চেনে এবং খুবই ভালোবাসে।'এদিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ততক্ষণে সদানন্দকে সবাই ঘিরে ধরেছে। সবার মুখেই হাসি, কৌতুহল। সকলেই চান সদনন্দের হাতে আসুক  গিনেস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ড। স্বপ্নপূরণ হোক সদানন্দ দত্তের।