সংক্ষিপ্ত
মুকুল রায় যাওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু
তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন না ২৪ জন বিজেপি বিধায়ক
শুধুই কি তৃণমূল-মুখী স্রোতের ইঙ্গিত
দলের জাতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপি-র মধ্যে কাঁপুনি শুরু হয়য়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন দল বদলে, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি-তে আসার হিড়িক দেখা গিয়েছিল, এখন তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের পর উল্টোস্রোত দেখা দিতে পারে, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। এবার, শুভেন্দু অধিকারীও সেই স্বাদ পেলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিধায়কদের নিয়ে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া বিরোধী দলনেতা। সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল 'বাংলায় ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি অনুপযুক্ত ঘটনার বিষয়ে রাজ্যপালকেঅবহিত করা এবং অন্যান্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা'। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর আহ্বানে সাড়া দেননি বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। জানা গিয়েছে, বিজেপির ৭৪ জন বিধায়কের মধ্যে ২৪ জনই আসেননি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তাই, সোমবারের পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে বিপরীত স্রোতের জল্পনা আরও জোরলো হয়েছে।
তবে, এই ২৪ জন বিধায়কের না আসা শুধুই যে বিপরীত স্রোতের ইঙ্গিতবাহী, এমনটা নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে এই ঘটনা এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছে, সমস্ত বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত নন। গত ডিসেম্বরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপর থেকে উল্কার বেগে উপরে উঠেছেন। একে বিপুল সংখ্যক নেতাকে তিনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এনেছিলেন। তারপর নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন। এই দুইয়ের মিশেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের মন জয় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - লক্ষ্য এবার দিল্লির মসনদ, প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক-এর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ালেন মমতা
আরও পড়ুন - 'দিদিমনির কাছে কাননের স্থান কখনই বদলাবে না', জল্পনা উসকে পার্থ-র বাড়িতে শোভন-বৈশাখী
নির্বাচনের পর, মুকুল রায়দের মতো বরিষ্ঠ নেতাদের বাদ দিয়ে তাঁকেই বিরোধী দলনেতা মনোনীত করা হয়। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘূর্ণিঝড় যশ-এর পর্যালোচনা বৈঠকে তাকে ডেকে নেন। দিলীপ ঘোষের সভা এড়িয়ে, দিল্লির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলে যেতেও শুভেন্দু অধিকারী দ্বিধা করেননি। যা চক্ষুশূল হয়েছে বঙ্গ বিজেপির বহু নেতার। এর মধ্যে দলীয় সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের পিছনে পিছনে, বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে চলে যেতে পারেন। বেশ কয়েকজন ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন তাঁরা।