সংক্ষিপ্ত
মোট ২৮টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি কাটছাঁট করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথও। নির্দিষ্ট গন্তব্যের অনেক আগেই ট্রেনগুলির যাত্রা শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। আর সেই আশঙ্কায় একাধিক ট্রেন বাতিলের (Train Cancel) সিদ্ধান্ত নিল রেল কর্তৃপক্ষ (Railway Ministry)। মোট ২৮টি দূরপাল্লার ট্রেন (Long distance train) বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি কাটছাঁট করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথও। নির্দিষ্ট গন্তব্যের (Destination) অনেক আগেই ট্রেনগুলির যাত্রা শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু ট্রেনকে আবার চালানো হচ্ছে ঘুরপথে। ভুবনেশ্বর, পুরী (Puri) ও চেন্নাইয়ের (Chennai) বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করার পরই তৎপর লালবাজার (Lalbazar)। কারণ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার নানা প্রান্ত জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এবার দুর্যোগের আশঙ্কা আরও প্রবল হওয়ায় আগে থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে থাকছেন কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation), পূর্ত দফতর, দমকল ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। এছাড়া লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে (Control Room) খোলা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কলকাতা পুলিশের তরফে নোডাল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায় চৌধুরী।
ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ভারতীয় নৌ সেনাকে (Indian Navy)। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধের দিকে তা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা কলিঙ্গপত্তনম ও গোপালপুরের কাছে আছড়ে পড়বে। এর প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেশিরভাগ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর অন্ধ্র উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ফলে তার প্রভাব পড়বে তেলাঙ্গানাতেও (Telangana)। সেখানেও বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, দিঘা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ প্রশাসনের
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগে থেকেই তৎপর দুই রাজ্যের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ওড়িশা উপকূলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ওড়িশা ডিজাস্টার ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪২টি দল, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ২৪টি দল, দমকলের ১০২টি দলকে সাতটি জেলা গজপতি, গঞ্জম, রায়াগাড়া, কোরাপুট, মালকানগিরি, নবারংপুর ও কান্ধামালে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এনডিআরএফের পাঁচটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে অন্ধ্রের বিভিন্ন জায়গায়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর ফ্লাড রিলিফ টিম এবং ড্রাইভিং টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশাখাপত্তনমে দুটি নৌবাহিনীর জাহাজকে সমুদ্রে রাখা হয়েছে ডিজাস্টার রিলিফ মেটেরিয়াল এবং হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য। সঙ্গে আছে মেডিক্যাল টিম। বিশাখাপত্তনম এবং চেন্নাই এই দুটি জায়গায় প্রস্তুত আছে নৌ সেনা।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে 'গুলাব', ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন
ঘূর্ণিঝড়ের পরই আবার থাকছে নিম্নচাপের ফাঁড়া। বুধবার বাংলা উপকূলের কাছে পৌঁছাবে নিম্নচাপ। মঙ্গল ও বুধবার কলকাতায় ভারী বৃ্ষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। মঙ্গল ও বুধবার কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় থাকবে ৫০ কিলোমিটার।