সংক্ষিপ্ত

পরিস্থিতি যতদিন না পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক হবে ততদিন দিঘা পর্যটকশূন্য রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলগুলিকেও পর্যটকশূন্য করার জন্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বাংলার (West Bengal) আকাশে এখন দুর্যোগের ঘনঘটা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। তার জেরে উপকূলবর্তী এলাকায় (Coastal Area) আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন (Administration)। দিঘা (Digha) পর্যটকশূন্য (Tourist Free) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে দিঘাকে পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। পরিস্থিতি যতদিন না পর্যন্ত ঠিক হবে ততদিন দিঘা পর্যটকশূন্য রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলগুলিকেও (Digha Hotel) পর্যটকশূন্য করার জন্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া এই কয়েকটা দিন দিঘার সৈকতে (Digha sea beach) নামার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে পারবেন না পর্যটকরা। শনিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। তার অভিমুখ ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্ত। কিন্তু, তাহলেও রাজ্যে এর প্রভাব ভালোই পড়বে। আর সেই কারণেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলির সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না প্রশাসন। তার জন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। 

দুর্যোগ পিছু ছাড়ার কোনও নাম নেই। একটা দুর্যোগ কাটার পরই চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটা দুর্যোগ। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাব রাজ্য সরাসরি না পড়লেও, মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে ফের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ আসার আগেই তৎপর রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুন- 'গুলাব', কারা রাখল ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের এমন সুন্দর নাম

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দিঘা উপকূলেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিভিন্ন থানার তরফে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে করে প্রচার করা হচ্ছে। শনিবার দুপুর থেকেই সৈকতে নজরদারি শুরু করেন নুলিয়ারা। পুরনো দিঘার সৈকতে নামতে দেওয়া হয়নি পর্যটকদের।  

মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সমস্ত ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে 'গুলাব', ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন

মাছ ধরার জন্য একাধিক ট্রলার সমুদ্রে গিয়েছিল। তারা ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে। কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর,পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, বাসন্তী-সহ বন্দর এলাকায় পুলিশ, মৎস্য দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'-র প্রভাবে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে

তবে সপ্তাহের শেষে দিঘায় ঘুরতে এসে সমুদ্র স্নান করতে না পেরে মন খারাপ পর্যটকদের। শুধু সমুদ্রের সামনে গিয়ে ছবি তুলেই স্বাধ মেটাতে হচ্ছে তাঁদের। 

YouTube video player