সংক্ষিপ্ত
মৌসব ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধের দিকে তা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা কলিঙ্গপত্তনম ও গোপালপুরের কাছে আছড়ে পড়বে।
নিজের শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের (Coastal Area) দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclonic Storm Gulab)। রবিবার সন্ধের (Sunday Evening) দিকে তা ওড়িশার গোপালপুর (Gopalpur in Odisha) ও অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের (Kalingapatnam) কাছে আছড়ে পড়বে বলে মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) তরফে জানানো হয়েছে। তার জন্য আগে থেকেই তৎপর দুই রাজ্যের প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দল (NDRF Team) মোতায়েন করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার সন্ধের দিকে তা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা কলিঙ্গপত্তনম ও গোপালপুরের কাছে আছড়ে পড়বে। এর প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেশিরভাগ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর অন্ধ্র উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ফলে তার প্রভাব পড়বে তেলাঙ্গানাতেও (Telangana)। সেখানেও বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি যখন মাটি স্পর্শ করবে তখন উত্তাল হবে উঠবে সমুদ্র্র। ঢেউয়ের উচ্চতা থাকবে প্রায় ০.৫ মিটার। এর ফলে অপেক্ষাকৃত কম নিচু জেলা শ্রীকাকুলাম, সোমপেটা, ভিজিয়ানাগ্রাম এবং গঞ্জামের একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, দিঘা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ প্রশাসনের
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগে থেকেই তৎপর দুই রাজ্যের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ওড়িশা উপকূলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ওড়িশা ডিজাস্টার ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪২টি দল, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ২৪টি দল, দমকলের ১০২টি দলকে সাতটি জেলা গজপতি, গঞ্জম, রায়াগাড়া, কোরাপুট, মালকানগিরি, নবারংপুর ও কান্ধামালে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এনডিআরএফের পাঁচটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে অন্ধ্রের বিভিন্ন জায়গায়।
আরও পড়ুন- 'গুলাব', কারা রাখল ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের এমন সুন্দর নাম
ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও তার সরাসরি প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবে দুর্যোগের হাত থেকে মিলবে না রেহাই। রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে উপকূলের জেলাগুলিতে। সেই সঙ্গে কলকাতাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। মাইকে করে প্রচার করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। দিঘার সমুদ্রে পর্যটকদের নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার থেকে দিঘা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে 'গুলাব', ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন
এই ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। উপকূলের জেলাগুলিতে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।