সংক্ষিপ্ত

২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি বাড়ির বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি জখম হন আরও দু'জন। 

রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি বাড়িতে গুলি (Shootout) চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শীতল রায় সহ গ্রেফতার (Arrest) তিন জন। শুক্রবার রাতে মেঘালয় (Meghalaya) থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। ধৃতদের আজ রায়গঞ্জ আদালতে (Raiganj Court) তোলা হয়। তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের (police custody) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কী কারণে গুলি চালিয়েছিল তা জানতেই তাদের জেরা করবেন তদন্তকারীরা। 

২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি বাড়ির বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী (Miscreants) গুলি চালায়। গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু (Death) হয়। পাশাপাশি জখম (Injured) হন আরও দু'জন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রাক্তন ভাড়াটিয়া বিএসএফ কনস্টেবল (BSF Constable) শীতল রায় দুস্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে দেবীনগরের বাসিন্দা তিন ভাইবোনের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল। ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার ঝগড়ার জেরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল বলে অনুমান পুলিশের। 

আরও পড়ুন, COVID 19: চব্বিশ ঘন্টায় সংক্রমণ কমলেও ৭০০-র উপরে কোভিড গ্রাফ, শীর্ষে কলকাতা

তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জয়শ্রী দাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর সিল করে দেওয়া হয়েছিল শীতল রায়ের কাশীবাটির বাড়ি। ওই বাড়ির সামনে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। তদন্তকারীরা ভেবেছিলেন, ওই ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তর গতিবিধি সম্পর্কে অনেক তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া যাবে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ওই সিসি ক্যামেরার স্টোরেজ ডিভাইস খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন- "ক্ষোভ বাড়ছে, ডিভিসি ক্ষতিপূরণ দিক", আরামবাগে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বললেন মমতা

পুলিশের ধারণা, নিছক মাথা গরম করে নয়, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই অভিযুক্ত ওই ৩ জনকে গুলি চালানো হয়েছিল। তাই নিজেদের গতিবিধির প্রমাণ লোপাটের জন্যই সিসি ক্যামেরার স্টোরেজ ডিভাইস অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছিল পুলিশ। 

এরপরই পুলিশের স্পেশাল টিমের তরফে অভিযুক্তদের ট্র্যাক করা হয়। তখনই মেঘালয় থেকে তাদের হদিশ পায় পুলিশ। হদিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের একটি দল গোপনে মেঘালয় চলে যায়। সেখানে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে শুক্রবার মূল অভিযুক্ত শীতল রায়, তাঁর স্ত্রী ও গোপাল কৃষ্ণ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। 

আরও পড়ুন- বন্যার ইস্যু তুলে মমতাকে তোপ সুকান্ত-রাজুদের,গান্ধীজয়ন্তীতে স্বচ্ছতা অভিযান BJP-র

পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা) সানা আখতার বলেন, "ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান জারি ছিল। আমরা ট্র্যাক করে মেঘালয়ে তাদের হদিশ পাই। আমাদের টিম সেখানে গিয়ে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের সঙ্গে একটি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। পুরোনো ঝগড়া থেকেই সেদিন কোনওভাবে উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তরা গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।"

YouTube video player