সংক্ষিপ্ত
পড়তে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেই সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমুল হক তাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। এরপর মাদক খাইয়ে রহিমুল এবং তাঁর দুই সহযোগী ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।
এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল এলাকারই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ কিশোরীর পরিবারে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে।
পড়তে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেই সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালুপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমুল হক তাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। এরপর মাদক খাইয়ে রহিমুল এবং তাঁর দুই সহযোগী ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। পরে গ্রামের মধ্যে কিশোরীকে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ওই অবস্থায় কোনরকমে বাড়ি ফেরে কিশোরী। তারপর পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনার কথা জানায় সে।
ঘটনার কথা জানার পরই পরিবারের সদস্যরা রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, রহিমুল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন তিন অভিযুক্ত। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, "যেহেতু রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ অভিযুক্তরা সেই কারণেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।"
আরও পড়ুন- রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন তিলোত্তমা, সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভোগান্তি
আরও পড়ুন- রাতভর বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি শহরে, আজ সারাদিন কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কে কী করেছে তার দায় দল নেবে না। এ ধরনের ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যাতে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেয় তা দেখবে দল।
আরও পড়ুন- বাড়ির নারকেল গাছের উপর বাজ পড়ে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু যুবতীর, আশঙ্কাজনক আরও ৩
এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রতুয়া ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।