সংক্ষিপ্ত

বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর বিধানসভা সারাফুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন কার্যত যোগদান মেলা দেখা গেল।

বিধানসভা ভোটের(Assembly Polls) পর থেকেই তৃণমূলের(Trinamool) পালে নতুন করে দোলা লাগতে শুরু করে। এমনকী নির্বাচনী ময়দানে পুরোদস্তুর ধরাশায়ী হওয়ার পর বিরোধী শিবির থেকে একের পর এক ছোট-বড় নেতা তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন। এমনকী এখনও চলছে সেই যোগদান পর্ব। প্রতি সপ্তাহেই মোটামুটি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাসফুল শিবিরে নতুন করে যোগ দিচ্ছেন বহু কর্মী। বাম হোক বা গেরুয়া সব শিবিরেই নতুন করে ধরছে ভাঙন। গত কয়েক মাস ধরেই আইএসএফ(ISF) গড় ভাঙড়েও বহু কর্মী আব্বাস ও সিপিএম(CPIM) সমর্থক তৃণমূলে ফেরেন। এবার পালা বসিরহাটের।   

সম্প্রতি বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর বিধানসভা সারাফুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন কার্যত যোগদান মেলা দেখা গেল। বুধবার রাত্রিবেলা তৃণমূলের কর্মী সভায় বিজেপি(BJP) নেতা কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করলেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর আড্ড্য। গোটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী অঞ্চল সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল, আবুল কালাম আজাদ সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। স্বরূপনগরের বিজেপি নেতা শঙ্কর বিশ্বাস, সন্তোষ মল্লিক সহ ৩০০ জন নেতা-কর্মী সমর্থক এদিন তৃণমূলের কর্মী সভায় যোগদান করেন। দল ত্যাগীরা বিজেপির নেতাদের বলতে শোনা যায়,বিজেপির কোন সংগঠন নেই, ভালো লাগলো না। ওরা ধর্মীয় বিভাজন ও রাজনীতি করে যা বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে আজকে আমরা তৃণমূলে যোগদান করলাম।

আরও পড়ুন-চব্বিশের আগেই মানতে হবে গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি, দিল্লির দরবারে বসতে চলেছে ধর্না

এদিকে এই বিশাল সংখ্যক বিজেপি কর্মী ঘাসফুল শিবিরে ফেরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি আগের থেকে যে অনেকটাই বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।অন্যদিকে বসিরহাটে বিগত কয়েকমাস ধরেই মাটি হারাচ্ছিল বিজেপি। এবার তা যেন একবারে সংক্রামক রোগে পরিণত হয়েছে। তবে দলীয় কর্মীদের একেবারে শাসকদলের হাত ধরা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায়নি পদ্ম নেতাদের। এদিকে একসাথে এই বিশাল সংখ্যক কর্মীকে দলে পেয়ে স্বভাবতই খুশি ঘাসফুলের শীর্ষ স্তরের নেতারাও। এদিকে ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে কলকাতা পুরভোটের দামামা। যার আঁচ পড়তে শুরু করেছে গোটা রাজ্যেই। তার মধ্যে বিজেপিতে এত বড় ভাঙন শাসক দলেরই শক্তি বৃদ্ধি যে করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।