সংক্ষিপ্ত
এদিন এলাকায় তৃণমূলের তরফে ভবঘুরে,দুঃস্থ, সাধারণ মানুষের হাতে শীত বস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানের পরেই যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিন সিপিএম নেতা পুনিল মণ্ডলের নেতৃত্বে সিপিএম ও বিজেপি-র পুপনো কর্মী সমর্থকেরা মিছল করে এসে তৃণমূলের সভায় যোগদান করেন।
কলকাতা পুরভোটে(KMC Election) ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ক্ষমতা ফিরেছে তৃমমূল-কংগ্রেস। এদিকে ইতিমধ্যেই পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা গুলিতেও। অন্যদিকে আর এক বছর পরেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট(Panchayat vote)। এবার তার আগে বড় ধাক্কা লাগল বাম-বিজেপি শিবিরে(Left-BJP camp)। এমতাবস্থায় এবার বসিরহাট মহকুমা হিঙ্গলগঞ্জ(Basirhat subdivision Hingalganj) বিধানসভার ১৩ নম্বর সান্ডেল বিল এলাকায় বিজেপি-সিপিএম(BJP-CPM) থেকে ৩০০ জন যোগদান করলেন তৃণমূলে। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের ব্লক সভাপতি(Trinamool Bloc President) শহীদুল্লাহ গাজী, শিক্ষক নেতা তুষার মন্ডল, এসটি সেলের সভাপতি মহাবীর বর্মন সহ একাধিক নেতৃত্বরা।
অন্যদিকে এদিন এলাকায় তৃণমূলের তরফে ভবঘুরে,দুঃস্থ, সাধারণ মানুষের হাতে শীত বস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানের পরেই যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিন সিপিএম নেতা পুনিল মণ্ডলের নেতৃত্বে সিপিএম ও বিজেপি-র পুপনো কর্মী সমর্থকেরা মিছল করে এসে তৃণমূলের সভায় যোগদান করেন। হাতে তুলে নেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা। তদবে এদিন বেশিরভাগই দলত্যাগীরাই ছিলেন মহিলা। এদিকে দলত্যাগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রাক্তন বাম নেতা পুলিন মন্ডল জানান, “দীর্ঘদিন সিপিএমের পার্টির সদস্য ছিলাম। সংগঠনের কাজ করতাম, কিন্তু কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছিল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার বহুমুখী উন্নয়নের প্রকল্পের কাজ করতে, আজ আমরা তার দলে যোগদান করলাম। সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কাজে নিজেদের নিয়োগ করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে, আগামী দিনে তাদের একজন হে আজকের এই যোগদান পর্ব।”
অন্যদিকে এলাকার ব্লক সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, “বরাবরই হিঙ্গলগঞ্জ বিজেপি শক্ত সংগঠন। কিন্তু আমরা দেখেছি কলকাতা পৌরনিগমে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গোটা শহর কার্যত বিরোধী-শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই যত সময় যাবে বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে যোগদানেরর সংখ্যা বাড়বে। দলের নির্দেশ মেনে ধাপে ধাপে তৃণমূলে যোগদান করাব। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়াতে চাইছে।” এদিকে বাম-বিজেপি শিবির থেকে একধাক্কায় এই বিপুল পরিমাণ কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান যে মমতার দলকে আরও শক্তিশালী করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে এরফলে ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি য়ে আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল তা মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। তবে একযোগে এত কর্মী-সমর্থক দল ছড়ায় স্বভাবতই চাপে পড়েছে বিরোধী শিবির। মানসিক অস্থিরতা তৈরি হলেও এখও এই বিশেষ কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতৃত্বকে। অন্যদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছে বামেরা।