সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় বোমা রাখা হয়েছিল। সেটাই বুঝতে পারেনি শিশুরা। বল ভেবে সেটাকে নিয়ে তারা খেলতে গিয়েছিল। তখই সেটি ফেটে যায়। তবে কে বা কারা ওই বোমা রেখেছিল তা জানা যায়নি।
বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে গুরুতর জখম ৫ শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন তারা। আর বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের গোপালনগর গ্রামে। এখনও থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় কালিয়াচক থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় বোমা রাখা হয়েছিল। সেটাই বুঝতে পারেনি শিশুরা। বল ভেবে সেটাকে নিয়ে তারা খেলতে গিয়েছিল। তখই সেটি ফেটে যায়। তবে কে বা কারা ওই বোমা রেখেছিল তা জানা যায়নি। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যখম শিশুরা হল বিক্রম সাহা (৮), শুভজিৎ সাহা (৯), মিঠুন সাহা (১০), সুবল সাহা (৬), আব্দুল রেহান (৪)। এদের সবার বাড়িই গোপালনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গোপালনগর এলাকায় বাড়ির পাশের মাঠে খেলছিল কয়েকজন শিশু। আর মাঠের ধারেই রাখা ছিল বোমা। বিষয়টি বুঝতে পারেনি শিশুরা। বল ভেবে সেগুলি নিয়েই তারা খেলতে যায়। আর তখনই ফেটে যায় বোমাটি। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করে দেয় তারা। সেই আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠের মধ্যে ওই শিশুকে শুয়ে কাতরাতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুজনের পায়ে চোট লেগেছে। সব মিলিয়ে তিনজনের চোট গুরুতর। আরও দু'জন সামান্য জখম হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে তারা দেখতে পায় বিস্ফোরণস্থলের ঠিক পাশেই একটি পরিত্যক্ত কুয়ো রয়েছে। আর তার মধ্যে রাখা আছে দুটি জার। সেই দুটি জারের মধ্যে থেকেও একাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা, কী কারণে ওই এলাকায় বোমাগুলি রেখেছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, ঝালদাকাণ্ডে নিহত তপন কান্দুর ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, "২ শিশু কম জখম হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে পৌঁছায় পুলিশ ও বম স্কোয়াড। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।" তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মালদহের রতুয়া, কালিয়াচক-সহ বিভিন্ন এলাকায় বল ভেবে বোম নিয়ে খেলতে গিয়ে শিশুরা জখম হয়।
আরও পড়ুন, ভাদু শেখের খুন থেকে বগটুই গণহত্যা, সিসিটিভি ফুটেজে এল বিস্ফোরক তথ্য