সংক্ষিপ্ত
মাত্র তিনদিনেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গত তিনদিনের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
শহর কলকাতায় ইতিমধ্যেই সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের(Calcutta Medical College) কোভিড গ্রাফ। অন্যদিকে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলাতেও সমানতালে বেড়ে চলেছে করোনা উদ্বেগ। এমতাবস্থায় এবার মাত্র তিনদিনেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ৮ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত(8 doctors infected with corona) হলেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গত তিনদিনের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এইভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা(Medical Services at Canning Subdivision Hospital) ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা। অন্যদিকে মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি বাসন্তী ব্লক হাসপাতালেও(Basanti Block Hospital) একজন স্বাস্থ্যকর্মী সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৪৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। এরমধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ক্যানিং কোভিড হাসপাতালে কর্মরত। ফলে ৩৯ জন চিকিৎসকের উপরেই এই মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসার ভার রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে আচমকা করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮ চিকিৎসক হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতালের ক্যানিং ১, ক্যানিং ২, বাসন্তী, গোসাবা সহ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, বারুইপুর মহকুমার কুলতলি, জয়নগর এলাকার মানুষজনও এই হাসপাতালের উপরে অনেকাংশেই নির্ভরশীল। হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় গড়ে দু হাজার মানুষ আসেন চিকিৎসা করাতে। এছাড়াও জরুরী বিভাগ সহ প্রসূতি বিভাগে প্রতিদিনই রোগীদের ভিড় লেগে থাকে। এমনি যে পরিমাণ চিকিৎসক মহকুমা হাসপাতালে রয়েছেন তাতেই রোগীদের পরিষেবা দিতে নাভিশ্বাস উঠে যায় তাঁদের। এরপর দুদিনে সাত আটজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় যথেষ্ট সমস্যা তৈরি হয়েছে গোটা হাসপাতাল জুড়েই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, স্নায়ুরোগ বিসেশজ্ঞ, রেডিওলোজিস্ট, চোখ, কান, গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে হাসপাতালের সাধারণ পরিষেবা দিতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেন থেকে যুবতীকে ধাক্কা অস্ত্রধারী ছিনতাইবাজের, ব্যাপক উত্তেজনা শিয়ালদহ স্টেশনে
অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা জুড়ে লাগাতার করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই ঝোরোর মোড় এলাকায় ৫০ শয্যার একটি সেফ হোম চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই সেফ হোম পরিদর্শনে যান মহকুমা শাসক আজহার জিয়া সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। সংক্রমণ আরো বাড়লে প্রতিটি ব্লকেই সেফ হোম চালুর ব্যাবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিমল ডাকুয়া। এছাড়া ক্যানিং স্টেডিয়ামে করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে জেলার করোনা পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা মানছেন স্বাস্থ্য কর্তারাও।