সংক্ষিপ্ত
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্যারেটে প্রতিযোগিতায় কী কী পরিবর্তন হয়েছে, আবার নতুন ভাবে কী কী সংযোজন হয়েছে সেই সব কৌশলগুলি কেমন কিংবা তার ব্যবহার কীভাবে করতে হবে তা ক্যারাটে গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
চলতি বছরটা বাংলার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে খুবই ভালো। কারণ এই বছরে একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্বীকৃতি (National Recognition) পাচ্ছে বাংলা। যার ফলে গোটা বিশ্বের (World) কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে রাজ্য। প্রথমে কলকাতার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা দেওয়া। তারপর দেশের প্রতিটি রাজ্যের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার (Primary Education) নিরিখে বাংলার শীর্ষস্থান দখল করা এক কথায় অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আর ফের একবার বাংলার মুখ উজ্জ্বল করতে রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি নয়া উদ্যোগ নিল মুর্শিদাবাদও (Murshidabad)। আন্তর্জাতিক ক্যারাটে (Karate) মাস্টার ট্রেনিংয়ে অংশ গ্রহণ করছেন মুর্শিদাবাদ জেলার আট জন ক্যারাটে প্রশিক্ষক (Karate Instructor)। ক্যারাটে দো অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার আয়োজনে বজবজ এলাকায় ওই প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই বিষয়ে সংস্থার রাজ্য সম্পাদক বিমল কর্মকার বলেন, "প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ক্যারাটের কিছু পরিবর্তন সংযোজন হচ্ছে এই শিবিরের মাধ্যমে। রাজ্যের প্রশিক্ষকদের সেই বিষয়গুলি অবগত করা এবং কলা কৌশল নিয়ে চর্চা করতেই মাস্টার ট্রেনিং এর আয়োজন করা।” এবছর রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৪৪ জন প্রশিক্ষককে নিয়ে ক্যারাটের এই ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। কয়েক দিনের এই আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৮ জন ক্যারাটে প্রশিক্ষক ওই শিবিরে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্যারেটে প্রতিযোগিতায় কী কী পরিবর্তন হয়েছে, আবার নতুন ভাবে কী কী সংযোজন হয়েছে সেই সব কৌশলগুলি কেমন কিংবা তার ব্যবহার কীভাবে করতে হবে তা ক্যারাটে গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া জেলার ক্যারেটে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে তাদের তৈরি করতে হবে সেই সব কৌশল সুন্দর ও সহজ ভাবে তুলে ধরা হয় প্রশিক্ষকদের সামনে।
এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষে আন্তর্জাতিক মানের আট জন প্রশিক্ষক ওই শিবিরে উপস্থিত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন। এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের নিয়াজ মেমোরিয়াল ক্যারাটে অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক মহম্মদ সিজারুদ্দিন শেখ ডেভিড বলেন, “ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রশিক্ষণে কত কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে তা এই শিবিরে না আসলে অজানা থেকে যেত। তাছাড়া ওই শিবিরে এসে এক প্রশিক্ষক হিসেবে নতুন নতুন কৌশল রপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। জেলায় ফিরে গিয়ে ছেলে মেয়েদের মধ্যে তার প্রয়োগ করতে পারব।”