বনগাঁর বাসিন্দা শল্য চিকিৎসক অসীম সরকার হরিয়ানায় কর্মরত ছিলেন তিনি দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে পরিবার
দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক বাঙালি চিকিৎসক। নিখোঁজ চিকিৎসকের নাম অসীম সরকার। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার বাগদার পুরাতন হেলেঞ্চার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, গত ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে কলকাতার জন্য ট্রেনে ওঠার কথা ছিল ওই চিকিৎসকের। কিন্তু তার পর থেকেই কোনও খোঁজ নেই তাঁর।
নিখোঁজ চিকিৎসকের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি হরিয়ানার মেয়ট জেলায় গত আট বছর ধরে শল্য চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই গত ৩০ ডিসেম্বর কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। নতুন দিল্লি স্টেশন থেকে শিয়ালদহগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস-এ ওঠার কথা ছিল ওই চিকিৎসকের।
অসীমবাবু স্ত্রী এবং ছেলের দাবি, গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শেষবার তাঁদের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের ফোনে কথা হয়। অসীমবাবু ফোনে তাঁদের জানান, ট্রেন আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে। তিনি স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছেন। অভিযোগ, এর পর থেকেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আর কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর পরিবার। চিকিৎসকের মোবাইল ফোনটিও সেদিনের পর থেকেই সুইচড অফ রয়েছে।
বাবার খোঁজে কিছুদিন আগে দিল্লিও যান নিখোঁজ চিকিৎসকের ছেলে অভিষেক সরকার। নিউ দিল্লি স্টেশনে জিআরপি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন তিনি। রেল পুলিশ তাঁকে জানায়, দিন দশেকের আগে কিছু জানানো সম্ভব হবে না। কিন্তু দশ দিন কেটে গেলেও এখনও দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
অসহায় ওই পরিবার এখন বাধ্য হয়েই চিকিৎসককে খুঁজে পেতে সরকারি সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে। অসীমবাবুর স্ত্রী মায়া সরকার বলেন, 'উনি বলেছিলেন ট্রেন আড়াই ঘণ্টা লেট রয়েছে। কিন্তু কোন স্টেশনে রয়েছেন তা বলেননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, যেভাবেই হোক আমার স্বামীকে ফিরিয়ে এনে দিন।'
নিখোঁজের ছেলে অভিষেক বলেন, 'কী করব আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার বাবাকে খুঁজে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।'
