সংক্ষিপ্ত


সংকর প্রজাতির একটি বৃহৎ আকার তেলিয়া ভোলা মাছ, বিক্রি হল ১৩ লক্ষ টাকায়। সোমবার দিঘা মোহনায় বিশালাকার সেই মাছকে দেখার জন্য কার্যত লম্বা লাইন লেগে যায় একটি আড়তে।জানা গিয়েছে এইদিন প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলে দরদাম পর্ব।

মাছ বিক্রি করেই কপাল খুলে গেল মৎসজীবী শিবাজী কবিরের। সোমবার একটিমাত্র মাছ তিনি বিক্রি করেছেন ১৩ লক্ষ টাকা। বিশাল আকৃতির তেলিয়া ভোলা বিক্রি করেন দিঘার মোহনার আড়তে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার দারাদরি ও নিমালের পর বিশাল আকারের তেলিয়া ভোলা মাছটি কিনে নেয় এসএফটি সংস্থা। তেলিয়া ভোলা মাছের বৈশিষ্ঠ্য হল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পটকা। যা থেকে ওষুধ তৈরি হয়। বিদেশেও এই মাছের পটকা বিক্রি করা যায় বলেও সংস্থা সূত্রের খবর। 

সংকর প্রজাতির একটি বৃহৎ আকার তেলিয়া ভোলা মাছ, বিক্রি হল ১৩ লক্ষ টাকায়। সোমবার দিঘা মোহনায় বিশালাকার সেই মাছকে দেখার জন্য কার্যত লম্বা লাইন লেগে যায় একটি আড়তে।জানা গিয়েছে এইদিন প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলে দরদাম পর্ব। পরিশেষে ২৬ হাজার কিলো দরে মোট ১৩ লক্ষ টাকায় মাছটি কিনে নেয় এসএফটি সংস্থা। মাছটি সংকর প্রজাতির তেলিয়া ভোলা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। স্ত্রী, পুরুষ ছাড়া উভয় লিঙ্গেরও হয়ে থাকে এই প্রজাতির ভোলা। উভয় লিঙ্গের তেলিয়ার স্থানীয় নাম খচ্চর ভোলা। যার পেটে পটকা থাকে সবেচেয় বেশি। যার কারণেই মূল্যবানের মাছ। 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই মাছের পটকা ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। তাই প্রচুর দামে বিদেশের ওষুধ কোম্পানির তরফে কিনে নেওয়া হয়। খচ্চর ভোলার তুলনায় পটকার পরিমাণ কম হয় পুরুষ ও স্ত্রী মাছের। সে কারণে খচ্চরই অত্যন্ত দামি। এই দিনের ১৩ লক্ষ ভোলাটি অবশ্য স্ত্রী ছিল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নৈনানের বাসিন্দা শিবাজী কবির মাছটিকে নিলামের জন্য নিয়ে এসেছিলেন দিঘা মোহনায়। জানা গেছে, মাছটির মোট ওজন ৫৫ কেজি। আর সেই কারণে ডিমের জন্য ৫ কেজি বাদ দিয়ে মাছটির মোট ওজন দাঁড়ায় ৫০ কেজি।

 এই বিষয়ে আড়তদার কার্তিক বেরা বলেন, এই মাছটি স্ত্রী ছিল। পেটে ডিম থাকায় পটকার পরিমাণ খানিকটা কম। ৬ দিন আগে পুরুষ ৩০ কেজি ওজনের একটি তেলিয়া ভোলা বিক্রি হয়েছিল ৯ লক্ষ টাকায়। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কার্যকর্তা ও স্থানীয় আড়তদার নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, এই মাছ বছরে ২-৪ টা ওঠে। যার জালে জড়ায় তারই কপাল খুলে যায়। তবে মাছ বিক্রি করতে পেরে খুশি বিক্রিতেরা।