সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ঘটনা
- প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকার দূরত্বের জের
- প্রেমিক যুবকের বাইকে সওয়ার অন্য যুবতী
- দেখে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও প্রেমিকা
দীর্ঘ চার বছরের প্রেম ৷ কিন্তু সম্প্রতি সেই প্রেমিকের আচরণে বেশ সন্দেহ হচ্ছিল প্রেমিকার। এরই মাঝে শুক্রবার কলেজে যাওয়ার পথে প্রেমিকা দেখেন, প্রেমিক অন্য এক যুবতীকে নিয়ে পার্কে ঢুকছেন৷ এর পরে আর দেরি করেননি ওই প্রেমিকা ৷ কলেজ না গিয়ে সটান প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো ধর্না দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেই ক্ষান্ত হয় ওই প্রেমিকা।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার জ্যোতকানু রামগড় এলাকায়। শুক্রবারের এই বিয়ে পর্বের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ দাসপুর থানার পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে ৷ তবে দু' জনেই সাবালক হওয়ায় এই বিয়ে নিয়ে আইনি বাধা নেই ৷ কারও কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি ৷
জানাযায় দাসপুরের জ্যোতকানু রামগড় এলাকার কলেজ ছাত্র অরিন্দম মাইতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঘাটালের বাসিন্দা প্রিয়াংকা দোলুইয়ের। দু' জনেই ঘাটাল কলেজের ছাত্রছাত্রী । সম্প্রতি প্রেমিক অরিন্দম প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি ৷ এরই মাঝে প্রিয়ঙ্কা শুক্রবার দেখেন, মোটরবাইকে অন্য এক যুবতীকে নিয়ে পার্কে ঢুকছেন অরিন্দম। কলেজে না গিয়ে সোজা অরিন্দমের বাড়িতে হাজির হন প্রিয়ঙ্কা। অরিন্দমকে বিয়ে করার দাবি জানান তিনি ৷ কিন্তু ভিন্ন জাতের হওয়ায় প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না অরিন্দমের পরিবারের সদস্যরা।
অরিন্দমের পরিবারের আপত্তি শুনে প্রেমিকের বাড়ির বাইরে বসে থাকেন প্রিয়ঙ্কা। বিকেলের পরে অরিন্দম বাড়ি ফিরলে অরিন্দম আর প্রিয়ঙ্কার মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই ঘটনার কথা জানতে পারে উৎসুক স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রেমিক অরিন্দম প্রেমিকার কথা মানতে না চাইলেওআর তখনই এলাকাবাসী প্রিয়াঙ্কার পাশে দাঁড়ায়। অরিন্দমের ইচ্ছে না থাকলেও, গ্রামবাসীরা দু' জনকে গ্রামেরই এক মনসা মন্দিরে নিয়ে যায়৷ সেখানেই তাঁরা সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করিয়ে দু' জনের বিয়ে দিয়ে দেয়। পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয় ৷ গত কয়েকমাসে এই নিয়ে তিনবার ঘাটাল মহকুমাতে এইভাবে সালিশির মাধ্যমে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল।