সংক্ষিপ্ত

ফের সুন্দরবনে বাঘে তুলে নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে।  দারুন বিপদের দিনে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বন্ধুকে ফেলে পালাল সঙ্গীরা।  

ফের সুন্দরবনে বাঘে তুলে নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে। ভোরের আলো ফুটতেই  দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলিকে বেরোতে হয় পেটের টানে।  সুন্দরবনের হিংস্র জীব-জন্তু থেকেও যে বেশি ভয় করে পেটের জ্বালা। পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে তাই রোজকার মতোই কাজে বেরিয়ে ছিল মৎস্যজীবীরা। আর আচমকাই হান দেয় বাঘ। দারুন বিপদের দিনে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বন্ধুকে ফেলে পালাল সঙ্গীরা।  আর বাড়ি ফেরা হল না দ্বারিকের।

আরও পড়ুন, বড়বাজারে ভেঙে পড়ল বহু পুরোনো বাড়ি, আতঙ্কে বাইরে সবাই, জখম বৃদ্ধা

জানা গিয়েছে,  বৃহস্পতিবার সকালে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সুদর্শন সর্দার নামে এক মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছিলেন তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু এমন সুযোগ তো দৈবাৎ আসে। কাঁচা রক্তের স্বাদ একবার পেয়ে আর কি চুপ থাকে রাজ্যের অন্যতম হিংস্রতম পশু। তাই শনিবারও বাঘ এল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মতো শেষ রক্ষা হল না।  শনিবার সকালে দুই সঙ্গীর সামনে থেকেই বছর ৬৬-র দ্বারিক মন্ডল নামে এক মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে যায় বাঘ। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের বসিরহাট রেঞ্জের ঝিলা ৩ নম্বর জঙ্গলের হরিখালি বামনের খাল এলাকায়। 

আরও পড়ুন, WB By Poll: 'কমিশন প্রভাবিত', 'ভবানীপুরের ভোট' ঘোষণায় চটলেন দিলীপ, কী বার্তা ফিরহাদ-সুজনদের

ভোরের আকাশ তখন শান্ত।  শনিবার সকাল হয়েছে সবে। দূর দূর অবধি পাখির কলরব আর স্রোতের শব্দ নদীতে।  লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাণীখালি এলাকা থেকে তিন মৎস্যজীবী নিজেদের ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ কাঁকড়া ধরতে বেরোলেন সুন্দরবনের জঙ্গলে। ঠিক সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ যখন তাঁরা জঙ্গলে নেমে কাঁকড়া ধরছিলেন, তখনই আচমকা একটি বাঘ এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্বারিকের উপর। ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রাণপণে দৌড় লাগান তাঁর অন্য দুই সঙ্গী। কার্যত বিনা বাঁধায় শিকার ধরে নিয়ে ধীরে ধীরে জঙ্গলের মধ্যে গা ঢাকা দেয় বাঘটি।

আরও পড়ুন, দুর্গা পুজোর আগেই দুয়ারে রেশন, কীভাবে কবে কোথায় মিলবে, নির্দেশিকা জারি খাদ্য দফতরের

শনিবার তারপর সকাল গড়িয়ে মধ্য গগনে সূর্য। চারিদিক থমথমে। আগের মতোই নদীতে স্রোত বইছে। কিন্তু গভীর বিষন্নতায় ছেয়েছে চারিদিক। বন্ধুকে ছাড়াই নৌকাটি নিয়ে সুমিত্রা ও সন্তোষ গ্রামে ফিরে আসেন। তাঁদের কাছে ঘটনার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বন দফতর সূত্রের খবর, এই তিন মৎস্যজীবী বৈধ অনুমতি পত্র নিয়েই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গলে নেমে কাঁকড়া ধরার ক্ষেত্রে কোনও অনুমতিই দেওয়া হয় না বলে দাবি বন দফতরের। সঠিক কী ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে বন দফতর। পাশাপাশি নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে তাঁরা।

    আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

YouTube video player