সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় ময়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ। এক বিশেষভাবে সক্ষম বোন আর বিধবা মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন মাসুদ। কিন্তু, বাবার মৃত্যুর পরই বদলে যায় পরিস্থিতি।
ব্যাগে (Bag) থাকবে অনেক টাকা (Money), যার মাধ্যমে সব স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে! এই স্বপ্ন (Dream) দেখেন অনেকেই। কিন্তু, খুব কম মানুষই সেই স্বপ্নকে বাস্তবের পরিণত করতে পারেন। আসলে ভাগ্য যদি সঙ্গ দেয় তাহলে সব কাজই সম্ভব হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছে মাসুদ আলির ক্ষেত্রে।
স্বপ্নেও কখনও একথা কল্পনা করেননি তিনি। তাই এখনও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারেও যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা কখনও ভাবা যায়! একটা টিকিটই বদলে দিল তাঁদের ভাগ্য। মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত চিন্তামণি এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক (migrant worker) মাসুদ আলিকে নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে সর্বত্রই। সেলুন থেকে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে সব জায়গাতেই তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে কোটিপতি (millionaire) হয়ে উঠেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ইটাহারে বিজেপি নেতা 'খুনে' নয়া মোড়, দুষ্কৃতী নয় নিজের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু মিঠুনের
স্থানীয় ময়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ। এক বিশেষভাবে সক্ষম বোন আর বিধবা মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন মাসুদ। কিন্তু, বাবার মৃত্যুর পরই বদলে যায় পরিস্থিতি। সংসার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁর মাকে। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছিলেন মাসুদ। কাজ থেকে ফিরে বসে না থেকে এলাকার নদীতে বালি তোলার কাজও করেন তিনি। ইতিমধ্যে পাকা ঘর তুলেছেন ঠিকই কিন্তু টাকার অভাবে তাতে ছাদ দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন- লক্ষ্মীপুজোর আগে সবজি কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগছে হাতে, টান মধ্যবিত্তের পকেটে
সব সময় চাইতেন যাতে বিশেষভাবে সক্ষম বোন আর বিধবা মাকে স্বচ্ছল জীবন দিতে পারেন। তাই কখনও বসে থাকতেন না তিনি। সব সময় কাজ করতেন। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন। ভাবতেন যদি এর মাধ্যমে কখনও ভাগ্য ফিরে যায়। আর হলও তাই। স্থানীয় পণ্ডিতপুর মোড় থেকে একটি টিকিট কাটেন। এক কোটি টাকা জিতিয়ে সেই টিকিই ফিরিয়ে দেয় তাঁর ভাগ্য। এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতারাতি হিরো হয়ে গিয়েছেন মাসুদ।
এই বিপুল পরিমাণ টাকা জেতার পর রীতিমতো আবেগঘন হয়ে পড়েন মাসুদ। বলেন, "লটারিতে এক কোটি টাকা পেলে কার না ভালো লাগে বলুন।" কিন্তু, এত টাকা নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তিনি। থানাতেও গিয়েছিলেন। তিনি চান, সবার আগে বাড়িটাকে ভালো করে বানিয়ে মা ও বোনের মুখে হাসি ফোটেতে। মা রেনু বেওয়া বলেন, "ছেলের পরিশ্রম দেখে আল্লার কাছে প্রার্থনা করতাম। এখন দেখছি আল্লা সেই প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন।" মাসুদের বন্ধুদের কথায়, 'আর্থিক কারণে মাসুদ এতদিন বিয়ে করতে পারেনি এবার আমরা ওর বিয়েটাও দিয়ে দিতে চাই।'