সংক্ষিপ্ত
- বীরভূমেও কি ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা?
- বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি আটক করল পুলিশ
- গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালককে
- নাশকতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে
আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: নেপথ্যে কি জঙ্গি যোগ? ফের বিস্ফোরক উদ্ধার হল বীরভূমে। এবার মহম্মদবাজার থানার জয়পুর গ্রামে। যে গাড়িতে বিস্ফোরক মিলেছে, সেই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোথায় বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিল? কেনইবা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ব্য়ারাকপুরে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ, রাস্তায় নামলেই বাড়ি পাঠাচ্ছে গেরুয়া শিবির
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মহম্মদবাজার থানার জয়পুরে গ্রামে মোড়গ্রাম থেকে রানীগঞ্জগামী ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তখন একটি মারুতি গাড়ি দেখে কর্তব্য়রত পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। কী ব্য়াপার? গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতেই প্লাস্টিকে মোড়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের সন্ধান মেলে। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক আশিষ কেওরাকে। তদন্তকারীদের দাবি, গাড়িটিকে ৩৯ হাজার টাকার মূল্যের ডিটোনেটর ছিল।
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের সমর্থন সভায় কালো পতাকা, মুর্শিদাবাদে লকেট চট্টোপাধ্যায়-কে 'গো ব্যাক'স্লোগান
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরকবোঝাই গাড়িটি যে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই আশিস কেওরার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জে। পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, রানীগঞ্জ থেকে ওই বিস্ফোরকগুলি রামপুরহাট থানার পাথর খাদানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনও নথি বা কাগজ দেখাতে পারেনি ওই গাড়ির চালক। তাহলে কি নাশকতামূলক কাজের জন্য বিস্ফোরক পাচার করা হচ্ছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ শ্য়াম সিং। উল্লেখ্য, দিন কয়েক শান্তিনিকেতনে ভাড়া বাড়ি থেকে ধরা পড়ে চারজন বাংলাদেশি-সহ ছ'জন দুষ্কৃতী। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিস্ফোরক মিলল বীরভূমে।