সংক্ষিপ্ত
- অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- বাড়িতে ঢুকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের
- খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
- তদন্তে নেমেছে পুলিশ
বাড়িতে ঢুকে অধ্যাপককে শ্বাসরোধ করে খুন! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়া শহরে। খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিনী কলেজের আংশিক সময়ের অধ্যাপক ছিলেন অরূপ কুমার চট্টরাজ। স্ত্রী, মেয়ে ও মা-কে নিয়ে থাকতেন শহরের নর্থ লেক রোডে। প্রতিদিন কলেজের পর সন্ধেবেলায় ক্য়ারাম খেলতে যেতেন অরূপ। বাড়ি ফিরতেন রাত দশটা নাগাদ। শুক্রবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে দোতলায় নিজের ঘরে চলে যান অরূপ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে যখন দোতলার ঘরে যান, তখন ওই অধ্যাপকের মা দেখেন, এক অপরিচিত যুবক গলায় মাফলার জড়িয়ে অরূপকে খুন করার চেষ্টা করছে! ওই বৃদ্ধার দাবি, দোতলা থেকে নেমে ছেলের বিপদের কথা বউমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অরূপের স্ত্রী কোনও হেলদোল ছিল না। এদিকে চিৎকার শুনে অধ্যাপকের বাড়ির সামনে জড়ো হন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু ততক্ষণে ছাদের দরজা দিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে অধ্যাপকের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যে ঘরে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই ঘরটি সিল করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঘরে আগে থেকেই ওত পেতে বসেছিল আততায়ী। কিন্তু কী কারণে খুন হয়ে গেলেন অরূপকুমার চট্টরাজ? তা কিন্তু স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সেজে পশুর দেহাংশ পাচারের চেষ্টা, বমাল ধরা পড়ল তিনজন
জানা গিয়েছে, এলাকার ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন অধ্যাপক অরূপ কুমার চট্টরাজ। বেশ কয়েক বছর আগে নিজের এক ছাত্রীকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। অধ্যাপকের স্ত্রী পাপড়ি একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা। ওই দম্পতির এক কন্যাসন্তান আছে।