সংক্ষিপ্ত
- দশ ফুটের কিং কোবরা গলায় জড়িয়ে ছবি
- বিতর্কে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বনকর্মী
- বনকর্মীর নাম প্রকাশে নারাজ বন দফতর
ধরা পড়েছিল দশ ফুট লম্বা শঙ্খচূড় সাপ। আর সেই সাপ জঙ্গলে ছাড়তে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন বনকর্মীরা। বিষধর কিং কোবরাকে গলায় পেঁচিয়ে পরের পর ছবি তুললেন এক বনকর্মী। সাপ গলায় জড়িয়ে দিলেন নানা রকম পোজ।
ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে। বৃহস্পতিবার রাত ন'টা নাগাদ ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বীরপাড়ার পাগলি খাস এলাকায় একটি দশ ফুট লম্বা কিং কোবরা সাপ উদ্ধার করে বন দফতর। লঙ্কাপাড়া রেঞ্জের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করেন। রাতেই সাপটিকে জঙ্গলে ছাড়তে যান বনকর্মীরা।
জঙ্গলে সাপটিকে ছাড়ার আগেই বিষধর কিং কোবরাকে নিয়ে কেরামতি দেখাতে শুরু করেন বন দফতরের এক কর্মী। এক হাতে সাপের মুখ চেপে ধরে সেটিকে গলায় উপর দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে শুরু করেন তিনি। নানা রকমভাবে অঙ্গভঙ্গি করে পরের পর ছবি তুলতে থাকেন ওই বনকর্মী। তাঁর কেরামতি দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন অন্যান্য বনকর্মীরাও। রীতিমতো উৎসাহিত করা হয় ওই বনকর্মীকে। কিন্তু যেভাবে ওই বিষধর সাপটিকে গলায় জড়িয়ে বনকর্মী ছবি তুলতে থাকেন, তাতে যে কোনও সময়েই বিপদের আশঙ্কা ছিল।
সাপ নিয়ে বনকর্মীর ছবি তোলার সেই ভিডিও-ই ভাইরাল হয়ে যায়। বনকর্মীর এই আচরণে বিভিন্ন মহল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। প্রশ্ন ওঠে, ন্যূনতম সতর্কতা না নিয়ে যেভাবে ওই বনকর্মী সাপ গলায় জড়িয়ে ছবি তুললেন, তাতে তাঁকে অনুসরণ করে সাধারণ মানুষও যদি এমন কাণ্ড ঘটান, তার দায় কে নেবে? বন দফতর অবশ্য ওই কর্মীকে আড়াল করতে ব্যস্ত। সেই কারণেই ওই বনকর্মীর নামও প্রকাশ করা হয়নি।