সংক্ষিপ্ত

  • হুগলির চণ্ডীতলার শিয়াখালার ঘটনা
  • পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বারাসতের তৃণমূল কাউন্সিলরের
  • মৃত কাউন্সিলরের ভাইও
  • ঘটনায় শোকের ছায়া বারাসতে


মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো বারাসত পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তাঁর ভাইয়ের। পোলবায় পুল কার দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হুগলিতে ফের এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা।  এবার দুর্ঘটনাস্থল চণ্ডীতলা থানার অহল্যাবাই রোডের উপর  শিয়াখালা দেশমুখ মোড় এলাকায়। মৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য (৪৮)। তিনি বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদের সদস্যও ছিলেন। একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে প্রদ্যুৎবাবুর ভাই প্রণব ভট্টাচার্যেরও (৪২)। 

জানা গিয়েছে, ভাই প্রণবকে নিয়ে রবিবার রাতে বাঁকুড়ার দেশের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন প্রদ্যুৎবাবু। তখনই অহল্যাবাই রোডের উপরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাক্ট্ররের পিছনে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে তাঁদের বোলেরো গাড়িটি। আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে দোমড়ানো মোচড়ানো গাড়ি থেকে প্রদ্যুৎবাবু এবং তাঁর ভাইকে উদ্ধার করেন। চালক মোট তিনজনই গাড়িটিতে ছিলেন। প্রদ্যুৎবাবু বসেছিলেন গাড়ির সামনের বাঁদিকের আসনে।

আরও পড়ুন- 'ইন্ডিয়ান ২'-র সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ক্রেন ভেঙে প্রাণহানি, অল্পের জন্য রক্ষা কমল হাসানের

আরও পড়ুন- পোলবাকাণ্ড থেকে শিক্ষা, পুলকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি শিক্ষাদপ্তরের

স্থানীয়রাই উদ্ধার করে আহতদের প্রথমে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই মারা যান প্রদ্যুৎবাবু। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ভাই প্রণবের। গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ির চালক দেব কুমার দে-কে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব চণ্ডীতলায় পৌঁছন। ঘটনাস্থলে যান জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীও। জানা গিয়েছে, প্রণববাবুর ছেলের অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণ করতেই বাঁকুড়ায় দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন দুই ভাই। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 

রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্য়াক্টরটিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও সেটির চালক পলাতক। প্রদ্যুৎবাবু এবং তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বারাসতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকেই রাতে হুগলিতে পৌঁছন। অত্যন্ত সৎ রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন প্রদ্যুৎবাবু। সদা হাসিখুশি এই তরুণ নেতার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহকর্মীরা। একই সঙ্গে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে প্রদ্যুৎবাবুর পরিবারও স্তম্ভিত।