সংক্ষিপ্ত

  • লোকাল ট্রেনের গতি বাড়তেই ঘটল বিপত্তি
  • কামরা থেকে সন্তানকে নিয়ে ছিটকে পড়লেন মহিলা
  • আর্তনাদ শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে এল না কেউ
  • ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগে

চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে ছিটকে পড়লেন এক গৃহবধূ। কিন্তু তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল না কেউ! গুরুতর অবস্থায় ওই মহিলা নিজেই সন্তানকে নিয়ে এক কিমি হেঁটে পৌঁছলেন স্টেশনে। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগের তালপুর স্টেশনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু'জনেই ভর্তি হাসপাতালে।

ওই মহিলার নাম পিরু দাস। বাড়ি হুগলির খানাকুলের মায়াপুরে। রবিবার রাতে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে মায়াপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন পিরু। জানা গিয়েছে, তালপুর স্টেশন ছাড়ার পর যখন ট্রেনের গতি কিছুটা বেড়ে যায়, তখনই শিশুসন্তান-সহ কামরা থেকে পড়ে যান তিনি। কিন্তু ঘটনার পর ওই গৃহবধূর আর্তনাদ শুনে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। এমনকী, একরত্তি শিশুর কান্নাও কারও কানে পৌঁছয়নি। এভাবে কেটে যায় প্রায় ঘণ্টা খানেক। শেষপর্যন্ত গুরুতর জখম অবস্থায় পিরু নিজেই এক কিমি হেঁটে তালপুর স্টেশনে পৌঁছন বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনে পৌঁছানোর পর অন্য যাত্রীরা তাঁদের নিয়ে যান তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু'জনকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তারকেশ্বর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ ও তাঁর শিশুসন্তানের আঘাত গুরুতর।

আরও পড়ুন: রাস্তায় মাঞ্জা সুতোর ফাঁস, বরাতজোরে রক্ষা পেলেন বাইক আরোহী

পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনের কামরায় ওই মহিলার সঙ্গে আরও এক ছেলে ছিল। তাঁকে উদ্ধারে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  যোগাযোগ করা হয়েছে আহতদের পরিবারের সঙ্গেও। ঘটনায় রেলপুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বস্তুত, রেললাইনে কেন আরপিএফ-র নজরজারি ছিল না, সে প্রশ্ন উঠেছে রেলের অন্দরেও। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পূর্র রেল কর্তৃপক্ষ।