সংক্ষিপ্ত

  • সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল ছিল
  • মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়
  • সেদিনই কেন দল ছাড়েননি, প্রশ্ন অভিষেকের
  • দলবদল নিয়েও মুকুলকে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদের

সিঙ্গুর নিয়ে এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই মুকুল রায় বলেছিলেন, সিঙ্গুর আন্দোলন বড় ভুল ছিল। সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীকে তাড়িয়ে দেওয়াও ভুল ছিল বলে দাবি করেন মুকুল।  সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন অভিষেক পাল্টা প্রশ্ন করেন, সিঙ্গুর আন্দোলনকে যদি সমর্থনই না করেন, তাহলে সেদিনই কেন দল ছাড়েননি মুকুল?

সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মুকুল রায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে অন্যতম ভরসা ছিলেন। সেই মুকুল রায়ই সিঙ্গুর নিয়ে তাঁর মতামত পাল্টে ফেলেছেন। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা হলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হত বলেও দাবি করেন মুকুল। ওই আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি তখন ভুল করেছিলেন বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতা। 

এ দিন অভিষেক পাল্টা বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল ছিল বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অসম্মান করছেন মুকুল রায়। পাশাপাশি, অনিচ্ছুক কৃষকরা কারখানার জন্য জমি দিতে চাননি, তাঁদের ভাবাবেগকেও মুকুল অসম্মান করছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। মুকুলকে সারদা- নারদায় অভিযুক্ত বলেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। 

সিঙ্গুর নিয়ে মন্তব্য করার দিনই হুগলির তালপুর এবং চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন মুকুল। ওই দু'টি পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্য বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। বুধবার অবশ্য ওই দুই পঞ্চায়েতের সদস্যদের তৃণমূলে ভবনে হাজির করিয়ে অভিষেক দাবি করেন, গ্রাম পঞ্চায়েত দু'টি তৃণমূলের হাতেই রয়েছে। দলবদল নিয়ে মুকুল রায় মিথ্যে তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। জোর করে, ভয় দেখিয়ে অনেককেই দলবদল করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। 

মুকুলকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, "আগে যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখনও মিথ্যে কথা বলে উনি দলকে বিভ্রান্ত করতেন। এখন বিজেপি-তে গিয়েও দলবদল নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়ে দিল্লির কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।"

প্রসঙ্গত যে সিঙ্গুর আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যে ক্ষমতা দখলে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল, লোকসভা ভোটের ফলে নিরিখে সেই সিঙ্গুর বিধানসভাতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রেও জিতেছে বিজেপি। ফের সেখানে শিল্পের দাবিতে সরব হয়েছেন কৃষকদের একাংশ।