সংক্ষিপ্ত
- বজ্রপাতে মৃতদের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি
- এক নাবালিকার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ
- সবার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক
৭ জুন বিকেলে বজ্রাঘাতে মুর্শিদাবাদ, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলিয়ে রাজ্যের এই তিনটি জেলায় মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিজনের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল হুগলিতে গিয়েছিলেন তিনি। ১১টি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি খানাকুলের বাবা-মা হারা এক নাবালিকার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সবার পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
গতকাল খানাকুলের আগে পোলবা, মহানাদ ও তারকেশ্বরে গিয়েছিলেন অভিষেক। পোলবা-দাদপুরের নবগ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত এক মহিলার পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন তিনি। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে অভিষেককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। নিজের দুঃখ-কষ্টের কথাও সাংসদকে জানান তাঁরা।
এরপর বিকেল চারটের সময় হেলিকপ্টারে করে খানাকুলের রাজা রামমোহন রায় কলেজ মাঠে নামেন অভিষেক। প্রত্যেকটি পরিবারের কাছে গিয়ে খোঁজ নেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন তিনি। মৃতদের পরিবারের হাতে দু'লক্ষ টাকা করে সরকারি অনুদান তুলে দেন।
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেন অভিষেক। এরপর ছবির ক্যাপশনে লেখেন, "হুগলির পোলবা, খানাকুল এবং তারকেশ্বরে বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারবর্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তাদের এই ক্ষতি অপূরণীয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ। তাদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। অসহায় পরিবারগুলির প্রত্যাশার কথা শোনার পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দিই কিছু সাহায্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরাও সর্বদাই দুর্গতদের পাশে রয়েছে।"
এছাড়া বৃষ্টির সময় যদি বাজ পড়ে তাহলে সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে বাইরে না বেরিয়ে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন অভিষেক। এছাড়া সবাইকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়ে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।