সংক্ষিপ্ত

 

  • রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
  • বিপর্যস্ত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা
  • চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সহমত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
  • কর্মবিরতি সমর্থন করলেন না তৃণমূল সাংসদ

রাজ্যের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের দাবি দাওয়ার সঙ্গে সহমত হয়েও তিনি বলেন, "কর্মবিরতির জেরে কারো প্রাণহানি হলে তার দায় কি নেবেন চিকিৎসকরা?"

সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে রোগীর পরিবারের হাতে এক দুই জুনিয়র চিকিৎসকের নিগ্রহের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তিন দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে রাজ্যে জুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। যার জেরে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ এবং অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় বন্ধ। নাকাল হচ্ছেন হাজার হাজার রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। 

এ দিন অভিষেক এই অচলাবস্থা নিয়ে বলেন, সরকার এবং প্রশাসন চিকিৎসকদের দাবিগুলির সঙ্গে সহমত। তাঁদের দাবি পূরণের চেষ্টাও চলছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কোনও রং না দেখে এনআরএসে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিষেকের প্রশ্ন, পুলিশ যেখানে চিকিৎসক নিগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেখানে কেন কর্মবিরতি করে মানুষকে সমস্যায় ফেলছেন চিকিৎসকরা? অভিষেক বলেন, "আহত দুই চিকিৎসকের কিছু হলে তার যেমন হামলাকারীদের উপরে বর্তাবে, তেমনই চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয়, তার দায় নিতে হবে চিকিৎসকদেরই।"

তবে চিকিৎসকদের বেনজির প্রতিবাদের জেরে এ দিন দফায় দফায় বৈঠক হয় নবান্ন এবং স্বাস্থভবনে। বুধবার বিকেলেও স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করতে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিংহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপকুমার মিত্র-সহ কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সাগর দত্ত হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং সুপাররা। কোন হাসপাতালে কতজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানোয় কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় বৈঠকে। 

এনআরএসের ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের অবস্থা এখন অনেকটাই ভাল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার তাঁকে আইসিসিইউ জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হতে পারে। পরিবহ-সহ অন্য চিকিৎসকদের হামলার অভিযোগে যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, তাদের এ দিন সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।