সংক্ষিপ্ত
কয়লাপাচারকাণ্ডে ফের অভিষেক পত্নী এবং শ্যালিকাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে কয়লা পাচার মামলায় মঙ্গলবার ইডির দিল্লির সদর দফতরে নিজেই হাজিরা দেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।
কয়লাপাচারকাণ্ডে ফের অভিষেক পত্নী এবং শ্যালিকাকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিকে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডির দফতরে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর এবার কয়লাপাচারকাণ্ডের ইস্যুতে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কয়লা পাচার মামলায় মঙ্গলবার ইডির দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দেননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। 'ব্যাক্তিগত কারণে' দিল্লির সদর দফতরে হাজির হতে পারছেন না বলেও সূত্রের খবর। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, অভিষেকের আইনজীবী ইমেলে ইডি আধিকারিকদের বিষয়টি জানিেছেন। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডির দফতরে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। তবে সেই সময় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায় তলব করা হলেও তিনি হাজিরা দেননি। কয়লাকাণ্ড নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হয়ে আদালতে সোমবার অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিব্বল প্রধান বিচারকের সামনে ওই মামলার উল্লেখ করে দ্রুত শুনানির অনুরোধ জানান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি এনভি রমণা শুনানিতে রাজি হননি সোমবার। তিনি জানান, দ্রুত শুনানির বিষয়টি আলোচনা করবেন। কিন্তু কবে ওই শুনানি হবে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, 'বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতিতেই অভিষেককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা', আলোচনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতেও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এর আগে দিল্লি যাবার আগে গতবছর এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন, প্রায় ৭ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আমি আজও আমার অবস্থানে অনঢ়। আমি প্রকাশ্য়ে জনসভা থেকে বলেছিলাম যে, আমার বিরুদ্ধে যদিও কোনও প্রমাণ সামনে বা জনসমক্ষে আনতে পারে , তাহলে ইডি-সিবিআই-র দরকার নেই। ফাঁসির মঞ্চে আমাকে বলুন, আমি মৃত্যু বরণ করতে রাজি আছি। আমি আজও একই কথা বলছি। এবং আমি যেকোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। এদিকে কলকাতার মামলায় আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লিতে। ঠিক আছে, আমি প্রস্তুত, আমি তো যাচ্ছি। ভোটে হেরে গিয়ে এখন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতিতে নেমেছে ওরা। এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়া এদের আর কোনও কাজ নেই।'