সংক্ষিপ্ত

খাদিম কর্তা অপহরণকারীর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই আসামির মৃত্যু। দানা বেধেছে রহস্য,  ইতিমধ্যেই মৃত পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। 

খাদিম কর্তা অপহরণকারী আসামির মৃত্যু বসিরহাটে (Basirhat)। প্যারোলে মুক্তি পেতে না পেতেই আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে দানা বেধেছে রহস্য। ইতিমধ্যেই মৃত পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ(Basirhat Police)।  মৃত ওই আসামীর নাম  নজরুল ইসলাম। মৃতের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে (Postmortem) পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০১, সালে খাদিম কর্তা পার্থ রায় বর্মন অপহরণে রাজ্য-দেশ এমনকি বিদেশেও এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল । তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার আমলে এই ঘটনায় রীতিমতো রাজ্য-রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পার্থ রায় বর্মণকে অপহরণ করে হাড়োয়া গোপালপুর ২, নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে অপহরণ করে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল অপহরণকারীরা। শেষ অবধি ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও মুক্তিপণের কখা কখনই স্বীকার করেননি খাদিমকর্তা বা তাঁর পরিবার। এই ঘটনায় ঘুম উড়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের। তদন্তে বেশ কয়েকজন অপহরণকারীর নাম ও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পায় পুলিশ। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামি এখনও যাবজ্জীবন জেল খাটছে ।

আরও পড়ুন, Narada Case: নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন ফিরহাদ-শোভন-মদনের, তবে দেশ ছাড়তে পারবেন না কেউ

মৃতের ছেলে তরিফুল মন্ডল  জানিয়েছে, এই মামলায় মোট চার জন আসামি ছিল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হাড়োয়ার আসামি বছর ৪৮-র নজরুল ইসলাম, দমদম সেন্ট্রাল জেলে গত এক মাস আগে প্যারোলে মুক্তি পায়। তারপর বাড়িতে আসে। দুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর আবার ঠিক হয়ে যায়। ফের মঙ্গলবার ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং হঠাৎই কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়।  চুপচাপ হয়ে যায়। তড়িঘড়ি করে  নজরুল ইসলামকে পরিবারের লোকজন এবং হাড়োয়া থানার পুলিশ হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতের কারণ জানতে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। মৃত পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন, GD Birla School Agitation: 'সুবিচার চাই', দেড় বছর পর স্কুল খুলতেই বিক্ষোভ জিডি বিড়লায়           

খাদিম কর্তা  অপহরণের নাম জড়িয়েছিল ডি কোম্পানি- দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ আফতাব আনসারিরএই ঘটনার সঙ্গে জুড়ে আমেরিকান সেন্টার হামলার ঘটনাও। জুড়ে যায় আসিফ রেজা কম্যান্ডো ফোর্স বা এআরসিএফ-র নাম। বা এআরসিএফ-র হরকৎ উল জিহাদি ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কলকাতা, আগ্রা, মুম্বই, মালেগাঁও, সুরাতে ততদিনে জাঁকিয়ে বসেছে এআরসিএফ সদস্যরা। আফতাব আনসারি, আসিফ রেজা কান, আমীর রেজা খানদের মতো থিঙ্কট্য়াঙ্কদের সফট টার্গেট ছিলেন পার্থ রায়বর্মণের মতো কোটিপতি ব্যবসায়ীরা।  

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player