সংক্ষিপ্ত
- উপনির্বাচনের দিন আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী
- করিমপুরে মারধর করা হয় জয়প্রকাশ মজুমদারকে
- লাথি মেরে ঝোপে ফেলা হয় বিজেপি প্রার্থীকে
- ঘটনায় গ্রেফতারের পর জামিন পান অভিযুক্তরা
করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধর এবং লাথি মারার ঘটনায় ধৃত পাঁচজনই জামিন পেয়ে গেলেন । তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জয়প্রকাশকে লাথি মেরে ঝোপের মধ্য ফেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত তারিকুল শেখও। মঙ্গলবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে এ দিন আদালতে তোলা হবে।
সোমবার করিমপুরের পিপুলখোলায় উপনির্বাচন চলাকালীন আক্রান্ত হন বিজেপি প্রা্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁকে মারধর করার পরে লাথি মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশনে ন'জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল বিজেপি। তাদের মধ্যে থেকে অবশ্য একমাত্র তারিকুল শেখ নামে জয়প্রকাশকে লাথি মারায় অভিযুক্ত যুবককেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি যাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কারও নামই তালিকায় ছিল না। বরং বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেতার নাম বিজেপি-র তালিকায় থাকলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে সেই বঙ্কিম মণ্ডলই তারিকুলকে থানায় নিয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করান বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- লাথি খেয়ে ঝোপে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী, চরম উত্তেজনা করিমপুরে, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুুন- লাথি খেয়ে ঝোপে জয়প্রকাশ, তৃণমূলের দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের
পুলিশ যে পাঁচজনকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আমিরুল শেখ, দাউদ শেখ, নীলকান্ত সরকার, তারিকুল শেখ এবং রফিক মণ্ডল। মঙ্গলবার এঁদের তেহট্ট আদালতে তোলা হলে প্রত্যেককেই দেড় হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারক। মঙ্গলবার বিকেলে সুকুমার সর্দার নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রাশিস ঘোষ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।