সংক্ষিপ্ত

  • নদিয়ার করিমপুরে উপনির্বাচনে উত্তেজনা
  • লাথি খেয়ে ঝোপে পড়েন বিজেপি প্রার্থী
  • বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার
  • অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে


উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা নদিয়ার করিমপুরে। এ দিন ভোট চলাকালীন করিমপুরের পিপুলখোলায় রাস্তার উপরই সজোরে লাথি মারা হল বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে। লাথি খেয়ে ঝোপের মধ্যে গিয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। লাথি মারার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থীকে কিল, চড়, ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। 

এ দিন সকাল থেকেই করিমপুরের বিভিন্ন বুথে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। ঘিয়াঘাটা এলাকায় ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ছিল ৩১ এবং ৩২ নম্বর বুথ। সেখানেও বিজেপি-র এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পান জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি সেখানে যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরে জনতা। কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিতে দিতে তাঁকে বুথের থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, নির্বিচারে কিল, চড়, ঘুষি মারা শুরু হয় জয়প্রকাশবাবুকে। শেষ পর্যন্ত সজোরে লাথি মেরে তাঁকে রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। 

বিজেপি প্রার্থীকে আক্রান্ত হতে দেখে ছুটে আসেন পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল সমর্থকদের। এর পরই বিজেপি প্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়। জয়প্রকাশের অবশ্য অভিযোগ, তাঁর উপরে যখন হামলা চালানো হয়, তখন কার্যত দর্শকের ভূমিকা নেয় পুলিশ। 

ক্ষুব্ধ জয়প্রকাশবাবু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডা বাহিনী আমার উপরে হামলা চালিয়েছে। ভোট লুঠ করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে আমায় যত মারধরই করুক না, আমি প্রত্যেকটা বুথে ছুটে যাব। 

আরও পড়ুন- লাথি খেয়ে ঝোপে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী, চরম উত্তেজনা করিমপুরে, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন- কোথায় ভোট, স্ত্রীকে দেখিয়ে বিতর্কে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী, দেখুন ভিডিও
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বনমন্ত্রী এবং নদিয়া জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব  বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হামলা হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারের উপরে। তাঁর আরাও দাবি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হলে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের মার খাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপি প্রার্থী, যাতে সহানুভূতির ভোট পান তিনি। 

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি-র তরফ থেকেও ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।