সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দাঁড় না করালেও, মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল শিবিরকে জব্দ করতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্বয়ং
সামনাসামনি তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দাঁড় না করালেও, মুর্শিদাবাদে(Murshidabad) ঘাসফুল শিবিরকে জব্দ করতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) স্বয়ং! তাই কংগ্রেসের গড় ধরে রাখতে এবার আসরে নামলেন তিনি নিজেই। আসন্ন সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শিরে সংক্রান্তি অবস্থা দেখা দিয়েছে কংগ্রেস শিবিরে। কারণ,আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমান আচমকা ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে বেঁকে বসেছেন। আর তাতেই কালঘাম ছুটছে কংগ্রেস শিবিরের।
তাই বহরমপুর থেকে সটান সামশেরগঞ্জ ছুটে আসেন অধীর বাবু।দীর্ঘক্ষন জইদুরের সঙ্গে উভয়ের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় বলেই বিশেষ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বিকেলে এই খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলের নতুন করে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। বৈঠকের পরে অবশ্য পরিস্থিতি খানিকটা সামাল দেওয়া যায় বলেই জানা যায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর আবেদন মেনে ফের ভোটে দাঁড়াতে রাজি হন জইদুর রহমান।
জানা যায়, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর। তাঁকেই সামশেরগঞ্জের প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু এ মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশন এই কেন্দ্রের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই তিনি ভোটের লড়াই থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন। এরপর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী জইদুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে লড়াই ময়দানে থাকার আবেদন জানান। তাঁর মত পরিবর্তনের অনুরোধ করেন।
অধীর বাবু ঘনিষ্ঠমহলে জানান, সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর থাকলে ভোটে জেতা নিয়ে তিনি আশাবাদী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জইদুর রহমান জানান, নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি প্রার্থী হিসেবে সরে দাঁড়ানোয় কংগ্রেস ধর্মসংকটে পড়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, ”আমি সামশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ও কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে আরও একবার আলোচনায় বসব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। প্রার্থী হিসাবে কর্মীদের দাবি আছে, এটা সঠিক।”
প্রসঙ্গত, ৩০শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। জইদুর রহমান যদি অধীর চৌধুরীর কথায় শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারে, তাহলে আগামী দিনে মুর্শিদাবাদের ডানপন্থী রাজনীতিতে নয়া মাইলফলক তৈরি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকবে।