সংক্ষিপ্ত

পুরুলিয়া পুঞ্চা থানার নির্ভয়পুর গ্রামের পর এবার পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের রানীপুর গ্রামে ফের জঙ্গলি আলু খেয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধর।

জঙ্গলি আলু খেয়ে মৃত্যু খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ক্রমেই যেন চিন্তা বাড়াচ্ছে পুরুলিয়ার(Purulia) বাসিন্দাদের মধ্যে। একমাসের ব্যবধানে ঘটে গেল দুটি মৃত্যুর ঘটনা। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের রানীপুর গ্রামে। আর তাতেই আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। এদিকে এই মৃত্যু নিয়ে জনমানসে উদ্বেগ কমাতে জোরদার প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের(District Administration) তরফেও। এদিকে পুরুলিয়া পুঞ্চা থানার নির্ভয়পুর গ্রামের পর এবার পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের রানীপুর গ্রামে ফের জঙ্গলি আলু খেয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধর।

এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন আরও চার জন। অসুস্থরা পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে(hospital) চিকিৎসাধীন বলে জানা যাচ্ছে। ৮৫ বছর বয়সী মৃত বৃদ্ধের নাম বিরসিং সরেন। কার বাড়ি পুরুলিয়ার টামনা থানার অন্তর্গত রানীপুর গ্রামে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরাও। এদিকে জঙ্গলি আলু খাওয়ার জেরে মৃত্যুর ঘটনা গত কয়েক বছরেই বাংলার বেশ কিছু জেলায় দেখা যাচ্ছে। সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়ছে আদিবাসী পরিবারগুলির মধ্যেই। তাদের মধ্যেই এই ধরণের আলু সংগ্রহ ও রান্না করে খাওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি।

আরও পড়ুন-অধীর ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা বহরমপুরে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

এদিকে বিরসিং সরেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাব পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ ঘোষ। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন গোটা পরিস্থিতি। এরপর মৃতর পরিবারের হাতে কিছু সরকারি ক্ষতিপূরণও তুলে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে টামনা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ পাঠায়।

আরও পড়ুন-পুলিশের তাড়ায় মরণঝাঁপ! যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল মুর্শিদাবাদের লালগোলা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ অক্টোবর পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার নির্ভয়পুর গ্রামে জঙ্গলের কন্দ(জঙ্গলি আলু)খেয়ে মৃত্যু হয় জলধর শবর নামে শবর সম্প্রদায়ের এক সদস্যের। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে চার জনকে ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই দিন শবর অধ্যুষিত নির্ভয় পুর গ্রামের জলধর শবর স্থানীয় জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে আলুর মতো এক জাতীয় কন্দ নিয়ে আসেন। এরপর সেই কন্দ সেদ্ধ করে পরিবারের সদস্যদের সাথে খান জলধর শবর। সেদ্ধ কন্দ খাওয়ার পরেই সকলেই অসুস্থ হওয়ার পর বমি শুরু হয়। অসুস্থদের পুঞ্চা ব্লক সাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে জলধর শবরকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার এক মাসের মধ্যেই আবার জঙ্গলি আলু খেয়ে আদিবাসী বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।