সংক্ষিপ্ত

বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লকের সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঁসা নদীর তীরে জাওয়াদ আতঙ্কের মধ্যেই চলছে বাঁধের কাজ। একেবারে জেসিবি লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে সুন্দরবনবাসীর আতঙ্ক কাটাতে তৎপর ব্লক প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই শক্তিক্ষয় করে নিম্নচাপে (Depression) পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad)। রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। তবে কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলায় ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর আজ সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে নাগাড়ে বৃষ্টি। বাদ যায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনাও (South 24 Parganas)। যার কারণে ভয়ে কাঁটা সুন্দরবন (Sundarbans)। আর সেই কারণেই সেখানে তড়িঘড়ি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লকের সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঁসা নদীর তীরে জাওয়াদ আতঙ্কের মধ্যেই চলছে বাঁধের কাজ। একেবারে জেসিবি (JCB) লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে সুন্দরবনবাসীর আতঙ্ক কাটাতে তৎপর ব্লক প্রশাসন। সন্দেশখালি দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ‍্য কর্মাধ‍্যক্ষ সুশান্ত সর্দার জানান, জাওয়াদ আতঙ্কের মধ্যেই পুরোদমে ডাঁসা নদীর (River) তীরে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ১৬ ফুট উঁচু ও ১৪ ফুট চওড়া হচ্ছে এই বাঁধ।

অতীতের আয়লা, বুলবুল, আমফান ও ইয়াসের জেরে নদী বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই গ্রাম। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ওই এলাকার বাসিন্দাদের উপর কতটা অভিশাপ হয়ে আসতে পারে তা তাঁদের ভালো করেই জানা রয়েছে। আর সেই কারণে ফের বৃষ্টির কথা শুনলেই তাঁদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়। ভারী বৃষ্টিতে ফের বাঁধ ভেঙে নদীর জল গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করেন তাঁরা। যার জেরে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে। 

বাঁধ ভেঙে নদীর জল গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করায় ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ। কখনও ফ্লাড সেন্টারে আবার কখনও স্কুলে চলে যেতে হয় তাঁদের। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিল সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লক প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। 

এদিকে জাওয়াদের জেরে আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ রয়েছে। আর সারাদিন ধরেই বৃষ্টি পড়ছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল সেই সতর্কতায় কোনও ফাঁক ফোকড় নেই। সুন্দরবনের লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষবাজারে জোয়ারের জল এসে ঢুকে পড়েছে এলাকায়। ফলে নৌকায় করে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। তবে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংখ্যা খুবই কম। তুলনায় রাস্তা-ঘাটও প্রায় ফাঁকা। দোকানেও লোকজন নেই। কারণ আগে থেকেই নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রশাসনের তরফে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের সব জায়গাতেই জাওয়াদ সতর্কতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।