সংক্ষিপ্ত
বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal)উপর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' । ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের এমন সুন্দর নাম রেখেছে পাকিস্তান।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রবল বর্ষণে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'-এর জেরে ইতিমধ্যেই রেড জারি করেছে নবান্ন। উপকূলরক্ষীবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্যের উপকূল এলাকায় ১৫ টি এবং কলকাতার জন্য ৪ টি দল মোতায়েন করে রেখেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আবহাওয়া দফতর প্রথম দুই দিন হলুদ এবং শেষ দুই দিন কমলা সতর্কতা জারি করে রেখেছে। তবে যার জন্য এত ব্যস্ততা, সতর্কতা সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'-নাম রাখল কারা, কীভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়, জানুন বিস্তারিত।
বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal)উপর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' (Cyclone Gulab)। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের এমন সুন্দর নাম রেখেছে পাকিস্তান। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের নাম দিয়েছিল ওমান। যেমন 'ফণি' -র নাম বাংলাদেশের দেওয়া।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পরবর্তী ঝড়ের নামও । জানা গিয়েছে পরের ঘূর্ণীঝড়টির নাম শাহিন। নামকরণ করেছে কাতার। এর আগে সাইক্লোন বুলবুলের নাম দিয়েছিল পাকিস্তান। ইউনাইটেড নেশান অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক এবং ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্য়াল অর্গানাইজেশানের তরফে ক্রান্তীয় অঞ্চলের ঝড়ের নাম ঠিক করা হয়। এক্যাপের সদস্য ১৩ টি দেশ আগেপিছে করে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে। এই ১৩ টি দেশের মধ্য়েই রয়েছে বভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্থান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইউএই, ইয়ামেন ।
আরও পড়ুন, 'সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই', জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুতে ধিক্কার দিলীপের
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ডব্লিউএমও সিদ্ধান্ত নেয়, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর সংলগ্ন আটটি দেশ ওই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করবে। এর পরে দীর্ঘ আলোচনার পরে ২০০৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমবার নামকরণ করা হয় গুজরাত উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ওনিল- র। এই অবধি যে ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ হয়েছে, তার মধ্যে অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জল, লেহার এবং বায়ু-র নামকরণ করেছে ভারত। সবমিলেয়ে আটটি দেশ এখনও পর্যন্ত ৬৪ টি নাম দিয়েছে। তার মধ্যে মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের দেওয়া বুলবুল। বাকি দু' টি হল পবন (শ্রীলঙ্কা) এবং অম্ফন (থাইল্যান্ড)।এই নামের তালিকা শেষ হলেই ফের নির্দিষ্ট দেশগুলি মিলে বৈঠক করে নতুন নাম প্রস্তাব করবে। এরপর তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়ের নতুন নামের তালিকা। কিন্তু সেই তালিকায় ইতিমধ্যে ব্যবহৃত নামগুলির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা