সংক্ষিপ্ত

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রাডারে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর মঙ্গলবার ইডির তরফে তাঁকে তলব করা হয়েছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রাডারে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর মঙ্গলবার ইডির তরফে তাঁকে তলব করা হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অর্থ পাচারের বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর। 

মানিক ভট্টাচার্য নদিয়া জেলার পলাসীপাড়ার বিধায়ক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি। কলকাতা আদালতের নির্দেশেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সভাপতির পদ থেকে। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। একটা সময় হাজরা ল কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি।

২২ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। একই সঙ্গে এই দিনে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও কয়েক জনের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল  কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেদিনই তল্লাশি চালান হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।  তারপরের দিনই গ্রেফতার করা হয় পার্থ আর তাঁর সহযোগী অর্পিতাকে। অন্যদিকে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। সঙ্গে বহুমূল্যবান গয়না, বিদেশী মুদ্রা ও ২০টিরও বেশি মোবাইল ফোন। 

অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যে নথি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জনৈক ‘শ্রী অনন্তদেব অধিকারী’র লেটারহেড প্যাড। তাতে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা রয়েছে। এমনটাই ইডি-র দাবি। ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানের নামও অনন্তদেব অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর কাছ থেকে নাম চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তিনিও পাঁচ জনের নাম পাঠিয়ে দিয়েছিবেন নিজের লেটারহেডে। তবে তিনি যে নামগুলি পাঠিয়েছিলেন তাদের কাউেকই নিয়োগ করা হয়নি। এটি সেই লেটারহেড কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

৩ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রাখা হবে। ৩ অগাস্ট আদালতে পার্থ আর অর্পিতাকে আবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পার্থ আর অর্পিতা দুজনেরই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ১০ দিনের ইডি হেফাজতের সময় পার্থ আর অর্পিতা দুজনেকেই ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেইমত এদিন থেকেই দুজনকে জেরা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ

আরও গভীর সংকটে পার্থ? SSCর সঙ্গে TET দুর্ণীতিতেও নাম জড়াতে পারে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর: সূত্র

মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা নয়, কারণ জানালেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী

রাশিয়াকে আটকে রাখতে ইউক্রেনের মূল অস্ত্র যোগা আর আর্য়ুবেদ