সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন এটি বিজেপির একটি বড় দুর্নীতি। মাত্র চার বছরের জন্য অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হবে। তারপর তারা কী করবে। মমতা এদিন বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই অগ্নিবীর নিয়োগ করা হয়েছে।
আসানসোলের কর্মিসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই শত্রুঘ্ন সিনহাকে জিতিয়ে সংসদে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন আসানসোলের মানুষ বিজেপিকে চুপ করিয়ে দিয়েছেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন এটি বিজেপির একটি বড় দুর্নীতি। মাত্র চার বছরের জন্য অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হবে। তারপর তারা কী করবে। মমতা এদিন বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই অগ্নিবীর নিয়োগ করা হয়েছে। মাত্র চার পরই পরই অগ্নিবীরদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে- এটা তো লপিপপ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার বলছে অগ্নিবীরদের চার বছর পরে রাজ্য সরকার চাকরি দেবে। কিন্তু তা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই অগ্নিবীর ইস্যুতে সরব হয়েছে। তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র চার বছরের জন্য কখনই চাকরি দিতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন রেলের প্রায় ৮০ হাজার পদ তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে দেশে বেকারির সংখ্যা বাড়ছে। তিনি আরও বলেন অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে যদি ৪০ হাজার মানুষ চার বছরের জন্য চাকরি পায় তাহলে প্রত্যেক রাজ্য থেকে এক হাজারের বেশি মানুষ চাকরি পেতে পারে না।
একই সঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অল্ট নিউজের সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের গ্রেফতারি বিরোধিতা করেও সরব হয়েছেন। তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন সমাজকর্মী তিস্তা শিতলাবাদের গ্রেফতার নিয়েছে। তিনি বলেন বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় সবই জাল ভিডিও ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রতারণা করা হয় দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কিন্তু তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয় না। কিন্তু কোনও মানুষ যখন বিজেপির সমালোচনা করে তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন মহম্মদ জুবেরকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বর্ধমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাঁর সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাণ্ডিতে ধানের কেনা-বেচা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্য থেকে ধান কেনে না। কিন্তু কৃষকদের সুবিধের জন্য রাজ্য সরকার ধান কেনে। কিন্তু মাণ্ডিতে এসে যদি কোনও বিক্রি না করতে পারে খালি হাতে ফিরে যান তাগলে অবশ্যই থানায় গিয়ে এফআইআর করুন। কার্যত স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কৃষকদের যাতে ধান ফিরিয়ে নিয়ে না যেতে হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দায়িত্ব সকলকে নিতে হবে। তিনি আরও সুর চড়িয়ে বলেন, যে দায়িত্ব নেবে না তাঁক ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। তিনি বলেন বাঁকুড়ায় এমন ঘনটা ঘটেছে। আর তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। মমতা বর্ধমানের অনুষ্ঠানে বলেন 'কৃষকরাই আমাদের সম্পদ। তারা আমাদের খাইয়ে পরিয়ে রাখে। তাই তাদের যত্ন নিতে হবে।'এই রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পর ১১ বছর ৫৭ লক্ষ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে।