সংক্ষিপ্ত

  • হুগলিতে শাসক দলের মিছিল বনাম মিছিল
  • প্রকট হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠ কোন্দল
  • 'কর্মীরা ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বিক্ষুব্ধদের বার করবে'
  • বিস্ফোরক মন্তব্য বেচারাম মান্নার

একুশের বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে,হুগলিতে ততই প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। জেলা তৃণমূলে দিবীপ যাদব সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এই সম্ভাবনা বেশি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিভন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মিছিল বনাম মিছিল। বিধায়কদের অন্ধকারে রেখে দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।

এরপর, রবিবার উত্তরপাড়ায় দলীয় সভায় তীব্র হুঁশিয়ারি দিলেন দলীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, ''রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যদি পার্টি থেকে করে খেয়ে কর্মীদের বঞ্চিত করে, প্রয়োজনে কর্মীরা তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে। হুগলি জেলা তৃণমূল সেই রকম পরিবেশ তৈরি হতে চলেছে''।

কয়েক দিন আগে নাম না করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। একইভাবে দলীয় সভাপতি দিলীপ যাদবের নাম না করে তাঁকে ফের খোঁচা দেন বেচারাম মান্না। সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে কিছু রাজনৈতিক নেতাদের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ''অনেক নেতাকে দেখেছি, যাঁরা পুলিশের কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেলে রেখে পালিয়ে এসেছিল। তখন কলমের খোঁচায় মমতার উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল''। এছাড়াও, কল্যাণ ব্য়ানার্জী, স্নেহাশিস চক্রবর্তী সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম করেন। কিন্তু, দলীয় জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের নাম মুখে আনেনি তিনি। উত্তরপাড়ার সভা থেকে দলীয় সভাপতিকেই বিধায়ক বেচারাম মান্না নিশানা করেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

যদিও, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ''কোথায় কে কী বলছেন, আমার জানা নেই, আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি, দলীয় নির্দেশ মেনে কাজ করা। দল যা বলে আমি মেনে চলার চেষ্টা করি''।